সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা

স্বাস্থবিধি ভুলে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

বণিক বার্তা অনলাইন

আগামীকাল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। করেনা সংক্রামণ উর্ধগতিতেও থেমে নেই ইদের আমেজ। স্বাস্থ্যবিধি ভুলে নগরবাসী মেতেছে কেনাকাটায়। সপ্তাহজুড়েই শপিং মল ও বিপনি-বিতানগুলো ছিল উপচে পরা ভীড়। অধিকাংশ মানুষ গ্রামে ফেরায় অনেকটা ফাঁকা থাকলেও কেনাকাটায় মুখর বিপনি-বিতানগুলো।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোডের মার্কেটগুলোতে এমন চিত্র দেখা যায়। 

লালবাগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গনি কেনাকাটা করতে এসেছেন পুরো পরিবার নিয়ে। তিনি বলেন, মার্কেটে ভীড় থাকায় প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করেছিলাম ইদের জন্য। আজ ইদ না হওয়ায় চাপ কম বলে বাসার সবাইকে নিয়ে এসেছি আরো কিছু কিনবো। এসে দেখছি আগের মতোই ভীড় কোথাও দাড়ানো যাচ্ছে না।

ফুটওভার ব্রিজে ভীড় জমিয়ে দামদর করছেন ক্রেতারা। জানতে চাইলে ক্রেতাদের একজন বলেন, সবাই এভাবে কেনাকাটা করছে। করোনাট জন্য মাস্ক ব্যাবহার করেছি, কিছু হবে না।

গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে নুসরাত জাহান এসেছেন লালমাটিয়ার থেকে। তিনি বলেন, এবার ঢাকায় ইদ করছি। বাড়িতে যাব না বলে শপিং করিনি। আজ নিজের জন্য অল্পকিছু কিনেছি। সবকিছুর দাম মোটামুটি রিজনেবলই আছেন।

এভাবে হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। তবে অধিকাংশ বিক্রেতারা বলছেন এবার মার্কেট খুলে দেয়ার পর ক্রেতারা ভীড় করেছে।  সে তুলনায় বিক্রি কম হয়েছে।

নিউ সুপার মার্কেটের বিক্রেতা ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, গতবছর একেবারেই বিক্রি হয়নি সে তুলনায় ভালো হয়েছে। তবে এবার করেনা থাকলেও একটা সময় মার্কেট খুলে দেওয়া হয়। মানুষজনও আসে, বিক্রিও হয়, কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা ছিলে ভালো বিক্রি হবে। 

গাউছিয়া মার্কেটের বিক্রেতা সিরাজ বলেন, বেচাকেনার অবস্থা ভালো না। শেষ মুহুর্তে এসেও তেমন বিক্রি নেই। সারাবছর এই মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করি, করেনায় এবারও লস হলো।

এসব মার্কেটগুলোতে দেখা যায় অধিকাংশ দোকানীরা মাস্ক ব্যাবহার করেনি। শারীরিক দুরত্বও মানছে না।  স্বাস্থবিধি মানায় এমন অনিহা ক্রেতাদের মাঝেও দেখা যায়। গরমে মাস্ক পরে অস্বস্তি লাগাসহ নানান অজুহাতে এমন বাধাহীনভাবে কেনাকাটা করছেন তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন