করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৭ মে থেকে আরেক দফা লকডাউন বাড়ছে। এসময় মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এমনিতেই ঈদের ৮/১০দিন পর ছাড়া মানুষজন রাজধানীতে আসে না। তাই আপাতত ঈদের পর চলমান বিধিনিষেধ মেনে চলার মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন -২০১৮ এর ক্ষমতাবলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিধান রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে জনবলের স্বল্পতা রয়েছে এবং একটি এলাকায় সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেও কুলানো যাবে না। তাই জনসাধারণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। সেটি চূড়ান্ত করতে এরই মধ্যে আইনের সংশোধনী এনে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশবলে তা কার্যকর করা হবে।
ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, মানুষ যেভাবে বাড়ি গেছে, যেভাবে মার্কেট করেছে তাতে সংক্রমণ বাড়বে এ নিয়ে সন্দেহের কোনও কারণ নাই। তাই আবশ্যিকভাবে শতভাগ জনগোষ্ঠীকে মাস্ক পরানোর বিকল্প নাই। এটি বাস্তবায়নের জন্যই পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার তিনি বলেছিলেন, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এটা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। সংক্রমণ এড়াতে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারা দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত।
এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় আন্তঃজেলা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।
