হিলি স্থলবন্দর

রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

ঈদে দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে হাজার ৬০৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ছাড়পত্র (আইপি) না থাকা নতুন করে আইপি প্রদান বন্ধ থাকায় স্থলবন্দরের সড়কপথ দিয়ে গত ২৯ এপ্রিল থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

গতকাল সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর দিয়ে ৪২টি ওয়াগন নিয়ে পেঁয়াজবাহী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনে এসে পৌঁছে। হিলির রাইহান ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে। রেলপথ দিয়ে নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং নতুন করে আইপি না দেয়ায় স্থলবন্দরের সড়কপথ দিয়ে গত ২৯ এপ্রিল থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ঈদে দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবং পণ্যটির দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে রেলপথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জানায়, সড়কপথে পেঁয়াজ আমদানির আইপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও রেলপথে শেষ হয়নি। ফলে রেলপথ দিয়ে আমদানি সম্ভব হয়েছে। গতকাল ৪২টি ওয়াগনে মোট হাজার ৬০৮ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। আমদানীকৃত এসব পেঁয়াজের পড়তা রয়েছে ৩১-৩২ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাজারে দেশী পেঁয়াজের দাম কম থাকায় আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে। ফলে আমাদের খানিকটা কম দামে আমদানীকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। এতে লোকসান গুনতে হতে পারে।

হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তপন কুমার বলেন, গতকাল সকালে ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনে আসে। এতে ভাড়া বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ১১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। পেঁয়াজ খালাস কার্যক্রম চলছে। খালাস শেষে ট্রেনটি পুনরায় ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, পেঁয়াজের যেসব আইপি ইস্যু করা ছিল তার মেয়াদ গত ২৯ এপ্রিল শেষ হয়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন