নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাসস্ট্যান্ড

কাগজপত্রে পেলেও দখল বুঝে পাননি ইজারাদার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা বাজার বাসস্ট্যান্ডটি অবৈধভাবে দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইজারাদারের বিরুদ্ধে। বর্তমান ইজারাদারের দাবি, এন মল্লিক পরিবহন লিমিটেডের মালিক নার্গিস মল্লিক বিভিন্ন কৌশলে বাসস্ট্যান্ডটি দখলে রেখে নিজ ব্যবসার কাজে লাগাচ্ছেন।

ইজারাদার মুশফিকুর রহমান বলেন, বান্দুরা বাসস্ট্যান্ডটি প্রতি বছর সরকারি নিয়মে দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিগত সময়ে নার্গিস মল্লিক বাসস্ট্যান্ডটি ইজারা নিয়ে পরিবহনের ব্যবসা করতেন। বছর তিনি দরপত্রে অংশ নিতে পারেননি বলে জোরপূর্বক স্ট্যান্ডটি নিজ দখলে রাখার চেষ্টা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দুরা বাজারে অবস্থিত বাসস্ট্যান্ডটি আরএস ৯২৮ দাগের সরকারি পেরি ফেরিভুক্ত জমি। দীর্ঘদিন ধরে স্ট্যান্ডটি দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দিয়ে থাকে উপজেলা প্রশাসন। গত মার্চ এন মল্লিক পরিবহনের একটি চলন্ত গাড়ি থেকে এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়। ঘটনায় পরিবহনটির মালিক নার্গিস মল্লিক র্যাবের হাতে আটক হন।

বছর দরপত্রে সর্বোচ্চ দর প্রদানের ভিত্তিতে মুশফিকুর রহমান পলাশ ইজারা পান। পহেলা বৈশাখ উপজেলা প্রশাসন তাকে তার দরপত্রের কাগজপত্র বুঝিয়ে দিলেও বান্দুরা বাজার বাসস্ট্যান্ডটির দখল তিনি এখনো পাননি। বাসস্ট্যান্ডটি এন মল্লিক পরিবহনের মালিক কোনো কাগজপত্র ছাড়াই দখল করে তার ব্যবসায়িক অফিস, ওয়ার্কশপ ভলকানাইজিং সেন্টারসহ ফিটনেসবিহীন কিছু গাড়ি রেখে দখল করে রেখেছেন। ফলে প্রতি মাসে ইজারাদারকে প্রায় লাখ টাকা ক্ষতি গুনতে হচ্ছে।

বিষয়ে ইজারাদার পলাশ জানান. আমি সরকারি নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দর দিয়ে ইজারা নিয়েছি। উপজেলা প্রশাসন দরপত্রের কাগজপত্র বুঝিয়ে দিলেও আমাকে এখনো দখল বুঝিয়ে দিতে পারেনি। পহেলা বৈশাখ থেকে আমি ইজারার টোল আদায় করতে গেলে নার্গিস মল্লিক আমাকে টোলের টাকা না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

বিষয়ে নার্গিস মল্লিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল কেটে দেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সারা দেননি। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দীন মনজু বলেন, সরকারি নিয়ম অনুসারে বান্দুরা বাজার বাসস্ট্যান্ডটি ইজারা দেয়া হয় মুশফিকুর রহমান পলাশকে। সম্প্রতি ওই বাসস্ট্যান্ডটিতে রাখা কয়েকটি বাস ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে যাওয়ায় কিছুটা জটিলতা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন