মহামারীতে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অর্থনীতিগুলো ধুঁকছে

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই সংকোচনে গিয়েছে ফিলিপাইন মালয়েশিয়া। এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশ নাজুক অবস্থায় আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলো। খবর ব্লুমবার্গ।

গতকাল প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, গত প্রান্তিকে ফিলিপাইনের অর্থনীতি পূর্বাভাসের চেয়ে অধিক সংকোচন হয়েছে। শীর্ষ আঞ্চলিক অর্থনীতি ইন্দোনেশিয়া থাইল্যান্ড থেকেও দুর্বল সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। উল্লিখিত চারটি দেশেই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। এশিয়ার অন্যান্য অংশ, বিশেষ করে ভারত বাংলাদেশেও আশঙ্কাজনকভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান অর্থনীতির মধ্যে কেবল সিঙ্গাপুর ভিয়েতনাম মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। প্রথম প্রান্তিকে উভয় দেশেরই অর্থনীতি বছরওয়ারি সম্প্রসারিত হয়েছে।

চলতি বছরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশ প্রবৃদ্ধিতে ফেরার কথা থাকলেও প্রথম প্রান্তিকে বড় আকারের সংকোচনে শঙ্কা ভর করেছে।  গত মাসে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অঞ্চলটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়ে দশমিক শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এর আগে দশমিক শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। আরো শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, অঞ্চলটির বেকারত্ব হার যাতে আশানুরূপ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

গতকাল মালয়েশিয়ার প্রবৃদ্ধি উপাত্ত তখন প্রকাশিত হলো, যখন প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন দেশব্যাপী চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। নতুন করে দেশটিতে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।

চলতি প্রান্তিকে ২০০৮-পরবর্তী সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশাবাদ ইন্দোনেশিয়ার। অভ্যন্তরীণ চাহিদা চাঙ্গায় সরকারি প্রণোদনায় দেশটির অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন