সম্প্রতি
পদ্মা
নদীতে স্পীড বোট
দূর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুতে দায়েরকৃত মামলার
প্রধান আসামী স্পীড বোটের মালিক চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। শনিবার দিবাগত রাতে তাকে কেরাণীগঞ্জ
থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে
এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের
পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি
বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অধিক মুনাফা
লাভের আশায় চাঁন মিয়া স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার চালু রেখেছিলেন। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
তিনি এ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। চাঁন মিয়া জানান, দুর্ঘটনার শিকার ওই স্পিডবোটে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা
হয়েছিল।
কমান্ডার
খন্দকার আল মঈন আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে ফাঁকি
দিয়ে লুকিয়ে একটি নির্দিষ্ট
সময় ঠিক করে স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করা হত। সাধারণ সময়ে তারা যাত্রী পারাপারের
দেড়শ টাকা করে নিলেও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের সময় তারা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে যাত্রী
পারাপার করে।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, এ মামলায় চার জন আসামীর মধ্যে প্রধান আসামী স্পিডে
বোটের চালক পুলিশের
তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার বাকি দুই পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।