রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণনিয়োগ

তদন্ত কমিটির মুখোমুখি উপাচার্যসহ জড়িতরা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণনিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের সাক্ষাত্কার নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। গতকাল সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে কমিটির মুখোমুখি হন নিয়োগসংশ্লিষ্ট প্রায় ১৫ জন। এছাড়া নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের যোগদান স্থগিত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে যোগদান স্থগিত রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের মাধ্যমে মে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগকৃত সবার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিধায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনোরূপ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই নিয়োগপত্রের যোগদান এবং -সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হলো।

বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বণিক বার্তাকে বলেন, নিয়োগ পাওয়ার পর যোগদানের অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে। তার মধ্যে অন্যতম যে জায়গা বা বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সেই বিভাগ বা দপ্তরের প্রধানের কাছ থেকে একটি সুপারিশ নিয়ে আসতে হবে। তারপর রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে আরো কয়েকটি প্রক্রিয়া শেষে নিয়োগ কার্যকর হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, সে কারণে যোগদান স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে বিকাল ৪টার পর প্রশাসন ভবন থেকে বের হওয়ার মুখে তদন্ত কমিটির প্রধান . আলমগীর হোসেন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে এটি একটি নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ। সুতরাং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিকে সাক্ষাত্কারের আওতায় আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমরা সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। দীর্ঘ সময় ধরে সদ্য প্রাক্তন উপাচার্যের সাক্ষাত্কার নেয়া হয়েছে বলে জানান।

বেলা ৩টার দিকে উপাচার্যের সাক্ষাত্কার নেয়া শুরু হয়। বেলা ৪টার দিকে প্রশাসন ভবন থেকে বের হন সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। ফেরার পথে তিনি নিয়োগ অবৈধ না দাবি করে বলেন, ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশে উপাচার্যকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেই ক্ষমতাবলে আমি নিয়োগ দিয়েছি। এটা আমি নিজ দায়িত্বে দিয়েছি। যদি নিয়োগ অবৈধ বলতে হয় তাহলে ৭৩-এর অধ্যাদেশের ওই সেকশনটি বাতিল করা হয়নি কেন, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন