‘বিশ্বায়ন প্রসঙ্গ: শোভন সমাজের সন্ধানে’ শিরোনামে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ওয়েবিনারে বক্তারা প্রশ্ন রেখেছেন, ভাইরাল মহামারী কি বিশ্বায়ন উদ্ভূত বিপর্যয়? বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মহামন্দা ও কভিড-১৯ মহামারী থেকে উত্তরণে বৈষম্য-অসমতা দূর করতে ‘শোভন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বায়ন নয় দেশজায়ন’-এর পক্ষে মত দেন আলোচকরা।
গতকাল বেলা ২টায় ঢাকার ইস্কাটনে সমিতির কার্যালয় থেকে এ ওয়েব সেমিনার পরিচালিত হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি অর্থনীতি সমিতির ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
অধ্যাপক আবুল বারকাতের সদ্য প্রকাশিত ‘বড় পর্দায় সমাজ-অর্থনীতি-রাষ্ট্র: ভাইরাসের মহাবিপর্যয় থেকে শোভন বাংলাদেশের সন্ধানে’ গবেষণা গ্রন্থটির বিষয়বস্তু ঘিরে ১৩ সিরিজের আলোচনা সভার এ অষ্টম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সহসভাপতি রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান। সভা সঞ্চালনা করেন অর্থনীতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল।
অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বই কেবল অধ্যাপক আবুল বারকাতের পক্ষেই লেখা সম্ভব, এতে তার মৌলিক ধারণা বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের নানা চিন্তার জোগান দিচ্ছে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে। অধ্যাপক বারকাত তার লেখায় তিনটি জিনিস এনেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে বিশ্বায়নের সম্পৃক্ততা ও চ্যানেলগুলো নিয়ে। আলোচনায় এসেছে বিশ্বায়নের প্রক্রিয়া আমাদের দেশে কেমন অভিঘাত এনেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের মতো বিশ্বায়নের প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা।
অধ্যাপক আবুল বারকাতের বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান বলেন, বিশ্বায়ন দুর্ভাবনার বিষয়। ততোধিক দুর্ভাবনার বিষয় নব্য উদারবাদী বিশ্বায়ন। এমনও প্রশ্ন উঠেছে যে, ভাইরাল মহামারী কি বিশ্বায়ন উদ্ভূত বিপর্যয়? একদিকে প্রচলিত বিশ্বায়নের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা আর অন্যদিকে বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ পাল্টে দিচ্ছে বিশ্বায়নের চরিত্র।