ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার পাম অয়েল খাতে প্রবৃদ্ধি

বণিক বার্তা ডেস্ক

বছরের এপ্রিলে মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল উৎপাদন প্রান্তিক মজুদ বেড়েছে। অনুকূল পরিবেশ, সার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং শ্রমিক সংকট কমে যাওয়ায় ভোজ্যতেলের উৎপাদন মজুদে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল।

মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন গত মাসের তুলনায় দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। ফিলিপ ফিউচারের ইনস্টিটিউশনাল সেলস ম্যানেজার মার্সেলো কালট্রেরা বলেন, এপ্রিলে দেশটির পাম অয়েল রফতানি আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে ১২ লাখ ৮০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে।

ভোজ্যতেল বিক্রয় প্রতিষ্ঠান সানভিন গ্রুপের গবেষণাপ্রধান অনিল কুমার বাগানি বলেন, গত মাসে পাম অয়েল রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৭০ হাজার টন। তবে অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ১৫ লাখ ৫০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছে।

মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদন রফতানির পাশাপাশি পাম অয়েলের মজুদও বেড়েছে। এপ্রিলে মজুদের পরিমাণ ১৪ লাখ ৪০ হাজার ১৫ লাখ ৬০ হাজার টনের মাঝামাঝি ছিল। এটি চলতি বছরের মার্চের চেয়ে বেশি হলেও গত বছরের চেয়ে কম। গত বছর ভোজ্যপণ্যটির মাসিক গড় মজুদ ছিল ১৭ লাখ ২৩ হাজার টন। এপ্রিলে পণ্যটির সরবরাহ চাহিদার পরিমাণ কেমন ছিল তা নিয়ে আগামীকাল এমপিওবির পক্ষ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ায় পাম অয়েল আবাদ আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে কিছুটা দেরিতে শুরু করতে হয়েছিল। জানুয়ারি থেকে সীমিত হয়ে গেছে পাম অয়েল কারখানাগুলোর কার্যক্রমও। তবে এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে দেশটির ভোজ্যতেল খাত। ইন্দোনেশিয়ায় এপ্রিলে ৩৫ লাখ টন পাম অয়েল উৎপাদিন হয়েছে। এটি পরিমাণে মার্চের তুলনায় ১০ দশমিক শতাংশ বেশি। এছাড়া রফতানি ১৪ দশমিক শতাংশ বেড়ে ২২ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাম অয়েল উৎপাদনকারী রফতানিকারক দেশ। পাম অয়েলের বৈশ্বিক চাহিদার ৫৪ শতাংশই পূরণ করে দেশ। রোবো রিসার্চ ফুড অ্যান্ড এগ্রিবিজনেসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক অসকার জাকরা বলেন, বছরের এপ্রিলে পাম অয়েল উৎপাদন বেড়েছে। পুরো মৌসুমে উৎপাদন ভালো হওয়ায় মাসভিত্তিক হিসাবেও উৎপাদন বেড়েছে। মাসভিত্তিক হিসাবে মাসের শেষ পর্যায়ে মজুদও বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন