ইস্তাম্বুলে নতুন খাল খনন

ব্যয় দাঁড়াবে দেড় হাজার কোটি ডলার

বণিক বার্তা ডেস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইস্তাম্বুলের অভ্যন্তরে খাল খনন প্রকল্পে অন্তত হাজার ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে বলে জানা গেছে। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এমনটা জানা যায়। খবর ব্লুমবার্গ।

তুরস্কের যোগাযোগ অবকাঠামোমন্ত্রী আদিল ক্যারাইসমাইলুগলো বলেন, জুনের শেষ দিকে আমরা প্রথম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করব। খালের ওপর ছয়টি সেতু নির্মাণে প্রায় ১৪০ কোটি ডলার ব্যয় হবে।

এক দশক আগে যখন এরদোগান প্রকল্পের ঘোষণা দেন, তখন সবার কাছে এটি স্বেচ্ছাচারী প্রকল্প বলে পরিগণিত হয়েছিল। ৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের খাল কৃষ্ণসাগরের সঙ্গে মারমারা সাগরের সংযুক্তি ঘটাবে। একই সঙ্গে খালের ফলে তৈরি জলপথের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে পাঁচ লাখ মানুষের একটি নতুন শহর তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, খাল খননের উদ্যোগ বসফরাস দার্দানেলিস প্রণালিতে নৌ-চলাচলের জন্য স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে।

এরদোগান জানিয়েছেন, তুরস্ক বসফরাস দার্দেনেলিস প্রণালিতে নৌ-চলাচলের চুক্তি থেকে বের হয়ে আসবে না। কিন্তু ইস্তাম্বুলজুড়ে খাল খনন একটি বিকল্প প্রকল্প হিসেবে কৃষ্ণ সাগরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণকে আরো জোরদার করবে।

বিরোধীরা বলছেন, বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বাধ্য করা যাবে না। একই সঙ্গে নতুন নৌপথ করদাতা পরিবেশকে বিপর্যস্ত করবে বলেও দাবি করেন বিরোধীরা। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলু বলছেন, খাল ইস্তাম্বুলে বসবাসকারী কোটি ৬০ লাখ মানুষের পানির উৎস নষ্ট করবে। একই সঙ্গে ইস্তাম্বুলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করার পাশাপাশি এটিকে জনবসতিহীন করবে বলেও দাবি করেন মেয়র।

তবে ইস্তাম্বুল মেয়রের এমন দাবিকে অসত্য বলে এসব উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা করছে এরদোগান সরকার। যোগাযোগ অবকাঠামোমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের কারণে তৈরি হওয়া পানির ঘাটতি পূরণে সরকার নতুন দুটি বাঁধ নির্মাণ করবে। এরদোগানের ১৮ বছরের শাসনামলে বিশাল আকৃতির অবকাঠামো খাতে হাজার হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে তুরস্ক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন