প্রিয় ব্র্যান্ড কেলভিন ক্লাইন

২০১৩ সালে অল টাইম দৌড়ের উপর নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয়জীবনের শুরু। এরপর নাটক বিজ্ঞাপনে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তৌসিফ মাহবুব এরপর ধীরে ধীরে বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকেও অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি ঈদ নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একটানা শুটিং করবেন ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। তার বর্তমান কাজ নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। আলাপ করেছেন কুদরত উল্লাহ

এখন কী করছেন?

শুটিং ছাড়া আর কী! ডেট দেয়া ছিল আগে থেকেই, যার জন্য একটানা শুটিং করতেই হচ্ছে। যদিও ঝুঁকি অনেক, কিন্তু সাবধানে আছি। সংগঠন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি। সবাই বলেছেন সাবধানে শুটিং করতে। সেটাই করছি। নয়তো আবার ডিরেক্টরদের অসুবিধা। আমার কারণে তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

ইদানীং বেশ ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে আপনাকে। কোনো বিশেষ কারণ?

কারণ দুটো। একটা নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়ে দেখা, অনেকটা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করার মতো। অন্যদিকে গল্পের ওপর নির্ভর করছে যে কেমন চরিত্র আমাকে দিয়ে মানায়। সেজন্য বোধহয় কিছু ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় হয়ে গেছে। এছাড়া তো আর কোনো উপায় নেই। কারণ নিজের অভিনয় তো নিজেকেই ভাঙতে হবে। সামনে আরো নতুন চরিত্রে দেখতে পাবেন।

এবার আসি পছন্দ-অপছন্দে। আপনার প্রিয় ব্র্যান্ড কোনটি?

কেলভিন ক্লাইন।

প্রিয় রঙ, প্রিয় খাবার?

প্রিয় রঙ নীল এবং খাবারের ক্ষেত্রে সিজনাল খাবার যেমন শীতে হাঁসের মাংস।

কোনো কিছু কালেকশনের শখ আছে?

আগে অনেক কিছু সংগ্রহ করতাম, এখন ব্যস্ত জীবনে টাকা সংগ্রহের পেছনে ঘুরি।

আপনার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ ছিল যে আপনি কভিড আক্রান্ত হয়েও শুটিং করেছেন। এটা কি সত্য?

দেখুন, এটা মাস তিনেক আগের কথা। মানুষ অনেক কথাই বলবে। এখন সব কথা তো আর আমি কানে দেব না। কথা সত্য যে আমার পরিবারের সবারই পজিটিভ হয়েছিল। কিন্তু আমি নেগেটিভ ছিলাম। আর ডাক্তারের দেয়া নিয়ম অনুয়ায়ী আমি নিজেও ২১ দিন আইসোলেশনে ছিলাম। এখন অন্য কেউ যদি কিছু বলে তাতে তো আমার কিছু যায় আসে না।

ঈদের জন্য কেমন গল্পে কাজ করছেন?

প্রতিটি গল্পই সময় উপযোগী, কিন্তু কিছুটা ভিন্ন মাত্রাও যোগ দেয়া হয়েছে। যেমন ফান আছে, টুইস্ট আছে, ক্রিয়েটিভিটি আছে, সামাজিকতা আছে, ট্রেন্ডি আছে। ওভারঅল সব মিলিয়েই অভিনয় চলছে। বাকিটা প্রচার শুরু হলে হয়তো দর্শকরা বলতে পারবেন কার কোনটা পছন্দ হলো।

ওটিটি কিংবা ওয়েব প্লাটফর্মের কী অবস্থা?

প্রস্তাব ছিল অনেক, কিন্তু এবার আর রাজি হইনি। কারণ পরিস্থিতি খুব বেশি ভালো মনে হয়নি। অনেক দূরে যেতে হয় শুটিং করতে। তারপর গ্রুমিং করতে হয়। মানসিকভাবে নানা দিক চিন্তা করে পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়। এজন্য এবার রিস্ক নিলাম না। তবে ঈদের পর মহামারীর প্রকোপ কমলে বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ শুরু করব ওটিটির জন্য।

একটানা শুটিংয়ে বোরিং লাগছে না?

বরাবরই শুটিং করলে আমার বোরিং লাগে না। আর যদি না করি ওই যে বললাম নির্মাতাদের অনেকের আর্থিক ক্ষতি হবে। তাদের কথা বিবেচনা করে নিজের মতো সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি।

শুটিং হাউজগুলোর কী অবস্থা?

স্বাস্থ্যবিধি সবাই মানছে, কিন্তু শুটিং করতে গেলে তো আসলে সবসময় মাস্ক পরে থেকে ডায়ালগ বলা যায় না। তাই নিজের সুরক্ষা নিজের কাছে। এটা সবার জন্যই। শুধু আমি মাস্ক পরলাম আর শুটিং করছি তাহলে তো হবে না। তবে আগের চেয়ে হাউজের মালিকরা অনেক সচেতন হয়েছে, এটা উপলব্ধি হচ্ছে।

এবার ঈদের দিন কী করবেন?

কোনো পরিকল্পনা নেই। ঈদের আগের দিন বাসায় ঢুকব, একেবারে রেস্ট নেব যতদিন মন চায়। যেহেতু একটানা শুটিং করেই ফেলেছি, সো রেস্ট তো নিতেই হবে। ঘুম আর ঘুম। পরিবারকে সময় দেব। বাইরে আর বের হচ্ছি না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন