মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের ওপর সন্ত্রাসীদের বোমাহামলায় বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন তিনি। দেশটির গণতন্ত্রের অগ্রদূত এবং জলবায়ু অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে খ্যাত নাশিদের ওপর রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করছে মালদ্বীপ নিরাপত্তা বাহিনী। তবে যেকোনো মূল্যে হামলাকারীদের ধরতে মরিয়া আইনশৃংখলা বাহিনীর। এ লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে। খবর এএফপি।
সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যাচেষ্টায় হোমমেইড বোমা ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এমএনডিএফ)। সংস্থাটি বলছে, রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত আকস্মিক বিস্ফোরক যন্ত্র ব্যবহার করেছে হামলাকারীরা।
মালদ্বীপের পুলিশ বলছে, হামলার সময় কাছাকাছি স্থানে থাকা সন্দেহভাজন চার ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছেন তারা। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মালদ্বীপের প্রত্যাশা শনিবার অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা অনুসন্ধানে যোগ দিবেন। এছাড়াও জাতিসংঘের দুজন মাদক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ এতে যুক্ত হবেন বলেও জানানো হয়।
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সলিহ আহত নাশিদের চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই সাবেক প্রেসিডেন্টের দ্রুত আরোগ্য কামনা ও আরো শক্তিশালী ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে তাদের মাঝে ফিরে আসার জন্য দোয়া করেছেন বলে জানান সলিহ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনের কাছে বোমাহামলার শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির জাতীয় সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়।
এদিকে, নাশিদের ওপর হামলার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জালিনা পোর্টার জানান, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা।
এদিকে, ভারতসহ অন্যান্য দেশও এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে।