ফেরিতে যানবাহন কম ঘরমুখো মানুষ বেশি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

গতকাল সকাল থেকেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। সকালে ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ভেঙে আসা যাত্রীর চাপে পারাপারে হিমশিম খেয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হয় হাজার হাজার মানুষ। কোনোক্রমেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব। ফেরিতে যানবাহনের চেয়ে ঘরমুখো মানুষই ছিল বেশি।

গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে ফেরিঘাটে এসে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। সেক্ষেত্রে গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।

সময় ঢাকা থেকে আসা ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা আলম হোসেন বলেন, ভোর ৫টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ঘাটে পৌঁছতে বেলা দেড়টা বেজেছে। স্বাভাবিক সময়ে ঘণ্টায় গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে আসা গেলেও এখন লাগছে অন্তত ঘণ্টা। তাছাড়া ১০০ টাকার ভাড়া ভেঙে ভেঙে খরচ হয়েছে ৫৫০ টাকা।

ফরিদপুরের যাত্রী আরিফ মোল্লা বলেন, সড়কে অনেক কষ্ট করে এসে ফেরিতে ওঠার পর আরেক বিড়ম্বনা। ফেরিতে অন্তত দুই হাজার যাত্রী। পা ফেলারও জায়গা নেই। আবার অর্ধেক যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। যাদের আছে তারাও সঠিক নিয়মে মাস্ক পরেননি, যে কারণে ঝুঁকি তো থেকেই যায়।

অপর যাত্রী শামিম হোসেন বলেন, মানুষ যেভাবে বাড়ি আসছে, এখনই প্রশাসন কঠোর না হলে ঈদের পর সারা দেশে করোনা ভয়াবহ রূপ নেবে।

এদিকে দুপুরের পর থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে সামাজিক দূরত্ব মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করতে দেখা যায় জেলা প্রশাসনকে। ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মানুষ যাতে ফেরিতে অন্তত মাস্ক ব্যবহার করে সেজন্য বোঝানো হচ্ছে। একেবারেই যারা নিয়ম মানছেন না, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

অপরদিকে যাত্রী ব্যক্তিগত যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করার কারণে গতকাল বিকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় এক সারিতে আটকে পড়ে অন্তত ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ সেখ জানান, বাড়ি আসা মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তবে যাত্রী ব্যক্তিগত যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। আর আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে রাতে বেলায় পার করে দেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন