হিলি স্থলবন্দর

দশ মাসে ১০৬ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

করোনাভাইরাস মহামারীর মাঝেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রেখেছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ১০৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা আহরণ করেছে হিলি শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

হিলি স্থল শুল্কস্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৩৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। সেই হিসাবে বাড়তি আহরণ হয়েছে ১০৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আশা করছে, রাজস্ব আহরণের ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের বাকি দুই মাসেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক আহরণ সম্ভব হবে।

চলতি অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৩১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সে হিসাব মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে কোটি ৬৪ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এছাড়া আগস্টে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিপরীতে ২০ কোটি ৮৬ লাখ, সেপ্টেম্বরে কোটি ৮০ লাখ টাকার বিপরীতে ২০ কোটি ৬৩ লাখ, অক্টোবরে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকার বিপরীতে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বরে ৩১ কোটি লাখ টাকার বিপরীতে ২৬ কোটি ৬০ লাখ, ডিসেম্বরে ৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার বিপরীতে ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে।

এছাড়া জানুয়ারিতে ২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বিপরীতে ২০ কোটি ৮১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বিপরীতে ৪৭ কোটি ১৯ লাখ, মার্চে ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার বিপরীতে ৬১ কোটি ৩৪ লাখ এবং সর্বশেষ এপ্রিলে ৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বিপরীতে ৬৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে।

ব্যাপারে হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, বন্দর দিয়ে পাথর, গম, খৈল, ভুসি, মসলাজাতীয় পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। শুধু হিলি স্থলবন্দর দিয়েই লাখ ৭১ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। এটিও রাজস্ব বাড়তির অন্যতম কারণ। রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আমরা অর্থবছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত সচেষ্ট আছি। এতে করে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, অবশ্যই সেটি ছাপিয়ে আরো বেশি পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করতে পারব বলে দৃঢ় আশাবাদী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন