সাপ্তাহিক লেনদেন

বাজার মূলধন বেড়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের মধ্যেই উত্থানের মধ্য দিয়ে চতুর্থ সপ্তাহ পার করেছে দেশের উভয় পুঁজিবাজার। সপ্তাহ শেষে সূচক লেনদেনের সঙ্গে উভয় এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। সেই সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ শেয়ারদর বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮০১ টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ কোটি ৭৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৫ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে হাজার ৯৪৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৪৪ টাকা বা দশমিক ৪৮ শতাংশ।

বাজার মূলধনের পাশাপাশি গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন হয়েছে হাজার ৮০৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬২১ টাকা। যেখানে তার আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকা। সে হিসাবে টাকার অংকে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়েছে হাজার ৪৮৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪১৩ টাকা বা ২৮ শতাংশ।

এদিকে গত সপ্তাহে টাকার অংকে ডিএসইর গড় লেনদেনও বেড়েছে। গত সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর গড় লেনদেন হয়েছে হাজার ৩৬১ কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার ১২৪ টাকা। যা তার আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ছিল হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪২ টাকা। সে হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইর গড় লেনদেন বেড়েছে ২৯৭ কোটি লাখ ৫৭ হাজার ৮২ টাকা বা ২৮ শতাংশ। 

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৬ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ৬০৬ দশমিক শূন্য পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল হাজার ৪৭৯ দশমিক ৬২ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ ২৬ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ১৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহ শেষে ছিল হাজার ১১০ দশমিক ৯১ পয়েন্টে।  ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ২৫২ দশমিক ১৯ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল হাজার ২৪৯ দশমিক ৮২ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৪টির, কমেছে ৬৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির আর লেনদেন হয়নি চারটির।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস খাত। দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল আর্থিক খাতের। আর দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল লাখ ৯৭ হাজার ৩৫১ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যা সপ্তাহজুড়ে লেনদেন শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে লাখ হাজার ৩৯৫ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে হাজার ৪৪ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা দশমিক ৫২ শতাংশ।

সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩২ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫৬ টাকার। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪১ কোটি ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬৪ দশমিক শূন্য পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২০৮ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৫ হাজার ৮৪৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২২টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২২১টির, কমেছে ৬৯টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন