এডিবিকে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ঋণ না দেয়ার অনুরোধ

বণিক বার্তা ডেস্ক

জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ঋণসহায়তা না দিতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককে (এডিবি) অনুরোধ করেছে কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) চলতি সপ্তাহেই ঋণদানকারী সংস্থাটির একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে সবুজ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিয়ে আলোচনা করা হবে। বৈঠকের আগেই জীবাশ্ম খাতে ঋণ না দিতে অনুরোধ করল এনজিওগুলো। খবর রয়টার্স।

মূলত দরিদ্রতম দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে এডিবি। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় তাদের ঋণদান নীতিগুলো এখনো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কেননা বছর বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো জলবায়ুর বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এডিবির বড় অংশীদার জাপান যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তাদের দেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে কঠোর নীতিমালা হাতে নিয়েছে।

বৈশ্বির জ্বালানির রূপান্তর বিষয়ে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্রুপ থ্রি ফিফটি ডট অর্গ। সংস্থাটির রিজিওনাল ক্যাম্পেইনার চাক ব্যাকলাগোন বলেন, সময় হয়েছে আমাদের সমাজগুলো পরিচ্ছন্ন পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির আওতায় আনার। ২০টির বেশি এনজিও স্বাক্ষরিত -সংক্রান্ত একটি চিঠি সংবাদমাধ্যমগুলোয় পাঠানো হয়েছে। সেখানে ব্যাকলাগোন বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণদানকারী সংস্থাগুলোকে আমাদের পাশে দরকার। যারা দ্রুত কয়লা, গ্যাস তেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ঋণ দেয়া বন্ধ করবে।

থ্রি ফিফটি ডট অর্গ বলছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত এশিয়ার গ্যাস প্রকল্পগুলোর জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে এডিবি। অথচ সে সময় প্রায় ২০০টি দেশ প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে এডিবি তাদের ঋণদান নীতি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নীতিমালা সব শেষ ২০০৯ সালে সংস্কার করা হয়েছিল। ফলে সেটিও যথেষ্ট পুরনো হয়েছে। জুন নাগাদ নতুন নীতিমালার খসড়া আলোচনার জন্য প্রকাশ করা হবে। এডিবি প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্পকে সমর্থন করে। যেখান থেকে রান্নার জ্বালানি সরবরাহ করা হয়। ২০১৫ থেকে ২০২০-এর মধ্যে জ্বালানি খাতে সংস্থাটি আড়াই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর ৪৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এবং ৩৫ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে আরো বেশি হারে নবায়নযোগ্য জ্বালানির নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে।

এডিবি কর্তৃপক্ষ বিষয়ে একমত হয়েছে, তাদের জ্বালানি নীতিমালা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন