আগামী ১৫ মে থেকে মিলবে ‘আমের রাজধানী’
খ্যাত রাজশাহীর আম। ওইদিন বাজারে নামানো যাবে কেবল গুঁটি জাতের আম। তবে সুস্বাদু অন্যান্য জাতের আমের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।
গতকাল ভার্চুয়াল বৈঠকে আম সংগ্রহের সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে স্থানীয় আম চাষী, বাগান মালিক, আম ব্যবসায়ী, রফতানিকারক, গবেষক, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের লোকজন অংশ নেন।
দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে গত মৌসুমের মতো এবারো নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন এবং ভোক্তা পর্যায়ে বিপণনে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে অনলাইনে আম কেনাবেচায় উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে যুক্ত ছিলেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি বছরই আম সংগ্রহের আগে এমন বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। এবারো
সেই বৈঠক হয়েছে। তাতে এ মৌসুমে আম সংগ্রহের সম্ভাব্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ১৫ মে গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। গোপালভোগ আম নামবে ২০ মে থেকে। এর পাঁচদিন পর ২৫ মে থেকে নামবে লক্ষণভোগ, লখনা ও রানীপছন্দ। হিমসাগর, ক্ষীরসাপাত আম ২৮ মে থেকে নামানো শুরু হবে।
আগামী ৬ জুন থেকে নামবে ল্যাংড়া আম। এরপর ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি নামবে। আর মৌসুমের শেষে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামবে ১০ জুলাই থেকে। এছাড়া
রঙিন আম খ্যাত বারি আম-১৪ নামবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তায়। বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ড. আলীম উদ্দিন।
এ বিষয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক জানিয়েছেন, নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন এবং ভোক্তা পর্যায়ে বিপণন বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে প্রত্যেক উপজেলায় আলাদা কমিটি থাকবে। এ কমিটি অসময়ে আম নামানো এবং আমে কেমিক্যাল মেশানো ঠেকাতে আমবাগান, কেমিক্যাল বিক্রির দোকান এবং আমের আড়ত পরিদর্শন করবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও তারা আইন অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরো জানান, নির্ধারিত সময়ের আগে কোনোভাবেই অপরিপক্ব আম সংগ্রহ কিংবা বাজারে তোলা যাবে না। আম পাকানো ও সংরক্ষণ বা বাজারজাতে কোনো কেমিক্যাল মেশানো যাবে না। আমে ভেজাল ঠেকাতে পরিবহনের আগে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আমের বাজার জেলার পুঠিয়ার বানেশ্বরে বিশেষ নজরদারি রাখবে প্রশাসন।