সাপ্তাহিক বাজারদর

৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজিই

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের বাজার। গরু খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে মুরগির।

রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, পলাশী, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা। এক সপ্তাহ আগে চালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আটাশ চালের দাম কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা। পাইজাম চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি টাকা। গতকাল রাজধানীতে প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়। কেজিপ্রতি টাকা বেড়েছে নাজিরশাইল। গত সপ্তাহে ৬৫ টাকায় বিক্রি হওয়া নাজিরশাইল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়। বাসমতী চালের কেজি ছিল ৭০ টাকা এবং চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৯০ টাকা। প্রতি কেজি খেসারির ডাল ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০, বুটের ডাল ৭৬, ছোলা ৬০ এবং বেসন ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি সাদা চিনি বিক্রি হয়েছে ৬৮ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সাদা চিনির দাম টাকা বাড়লেও কমেছে লাল চিনির দাম। রোজার শুরুতেও লাল চিনির দাম ৮৫ টাকা কেজি ছিল। গতকাল ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে লাল চিনি। তবে প্যাকেটজাত সাদা চিনির দাম ছিল কেজিপ্রতি ৭৫-৮০ টাকা।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো সবজিই ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, সবজি উৎপাদন সরবরাহে কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। তবে লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষকরা কম দামে সবজি বিক্রি করলেও লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা, আর বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

মৌসুমি সবজির মধ্যে কালো বেগুন, মুলা, ঢেঁড়শ, চিচিঙ্গা, ধুন্ধল, শসা, কাঁচা আম কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে টমেটো, পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি হালি লেবু ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পুঁইশাকের কেজি ছিল ৩০ টাকা। প্রতি আঁটি লাল শাক পাটশাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে সহনীয় দামে ছিল আলু। প্রতি কেজি আলু ১৮-২০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩২ টাকা এবং হাঁসের ডিম ছিল ৪০ টাকা।  

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি টাকা। গতকাল প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকায়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমেছে রসুনের দাম। প্রতি কেজি দেশী রসুন ৭০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশী আদার কেজি ছিল ১০০ টাকা এবং ভারতীয় আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

প্রতি কেজি সুপার সয়াবিন তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা। লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৫৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গরু খাসির মাংসের দাম যথারীতি ৫৬০ ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও কমেছে মুরগির মাংসের দাম। সাদা ব্রয়লার মুরগি ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ২০ টাকা কমে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে গতকাল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন