স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা

সড়কে ২২ দিন পর গণপরিবহন

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ১৪ এপ্রিল শুরু হয় লকডাউনের কড়াকড়ি। বন্ধ ছিল গণপরিবহন। দীর্ঘ ২২ দিন পর স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে গতকাল গণপরিবহন চালু হয়। তবে প্রথম দিনেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনীহা লক্ষ করা যায় চালক-হেলপারসহ বাসযাত্রীদের মধ্যে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার গুলিস্তানসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করতে বলা হলেও অধিকাংশ বাসেই তা দেখা যায়নি। এছাড়া অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে বসলেও অনেক বাসেই অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখা গেছে। বাসের হেলপাররা বলছেন, স্যানিটাইজার প্রয়োজন নেই, এজন্য তারা সঙ্গে রাখেননি। আবার অনেকেই বলছেন, স্যানিটাইজার আছে কিন্তু যাত্রীরা ব্যবহারে আগ্রহী নন, এজন্য দিচ্ছে না। আবার অনেক বাসের চালক হেলপার কেউই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

জানতে চাইলে দীর্ঘক্ষণ পরিহিত থেকে অস্বস্তির কথা বলছেন কিংবা অন্য অজুহাত দেখাচ্ছেন।

এদিন ভোর থেকেই সড়কে গণপরিবহন চলা শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে যাত্রীও বাড়তে থাকে। করোনা মহামারীর কড়াকড়ি থাকলেও সড়কে মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়। দুপুর থেকে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, পল্টনসহ রাজধানীর বহু এলাকায় জ্যাম সৃষ্টি হয়। গণপরিবহনের পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যক ব্যক্তিগত পরিবহনও দেখা গেছে।

এদিকে লম্বা সময় পর গণপরিবহন চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। বাসে অতিরিক্ত ভাড়ায়ও অভিযোগ নেই তাদের। ফিরোজ শেখ নিউমার্কেট এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন শ্যামলী থেকে অফিসে আসতে হয়। সিএনজি, মোটরসাইকেল বা রিকশায় আসতে অনেক বেশি খরচ হতো। বাস চালু হওয়ায় আমার মতো কম আয়ের মানুষদের জন্য ভালো হয়েছে।

নিউমার্কেট, গুলিস্তানসহ রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় লেগুনা চলাচল শুরু করেছে। এসব লেগুনায় শারীরিক দূরত্ব না মেনেই গাদাগাদি করে চলতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে অধিকাংশ চালক বলছেন, তারা দূরত্ব মেনে পরিবহনের চেষ্টা করলেও যাত্রীরা তা না মেনে উঠে যাচ্ছেন।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালাতে আমরা কড়াকড়ি আরোপ করেছি মাস্ক ছাড়া কাউকে বাসে উঠাতে নিষেধ করা হয়েছে। অনেক বাসের চালক হেলপার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে জানতে পেরেছি। এজন্য আরো গুরুত্ব দিয়ে মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে মালিকদের জানিয়েছি।

গতকাল চট্টগ্রামে বিআরটিসি বাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন করা হলেও অন্যান্য সিটি সার্ভিসে স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন