অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঘাটতি নিরসনে অন্য দেশ থেকে সংগ্রহ করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সংকটে কর্মসূচির স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। টিকার সংকট দেখা দেয়ায় চীন, রাশিয়াসহ অন্য দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে সরকার। একই সঙ্গে যেসব দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করছে, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল কভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় করণীয় এবং অক্সিজেন সংকট উত্তরণের উপায় শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা তিন কোটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অর্ডার করেছি। এর মধ্যে ৭০ লাখ পেয়েছি, আর উপহার হিসেবে আরো ৩০ লাখ পেয়েছি। প্রথম ডোজ হিসেবে আমরা প্রায় ৬০ লাখ টিকা দিয়েছি। আর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে আরো প্রায় ৩০ লাখ ডোজ দিয়েছি।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সংকট রয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা সংকট নিয়ে সরকার সচেতন আছে। আমরা অন্য সোর্স থেকে টিকা পাওয়ার ব্যবস্থা করছি। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। চীন থেকে আমরা আরো পাঁচ লাখ টিকা পাব শিগগরিই। এছাড়া অন্য যেসব দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করে, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। আমরা টিকা পেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই ভালো সংবাদ দিতে পারব।

দেশে মুহূর্তে অক্সিজেনের সংকট নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ২১০-২১৫ টন অক্সিজেন উৎপাদন করে। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে ১৭৫ টন এবং সরকারিভাবে আরো ৩০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করা হয়। তবে সারা দেশে ৫০-৬০ টন অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে। কভিডকালে তা ৭০-৮০ টনে পৌঁছায় আর কভিড যখন পিকে ওঠে তখন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ২১০ টন। অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। শিগগিরই একটি কোম্পানি ৪০ টন অক্সিজেন উৎপাদন করবে। চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই ২৬০-২৭০ টন অক্সিজেন উৎপাদন সম্ভব হবে। সরকারি বেরকারিভাবে হাজার ৩০০ টন অক্সিজেন মজুদ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন