ঝিনাইদহে বোরোর ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি কৃষক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। পুব আকাশে সূর্যের দেখা মেলার আগেই কাস্তে হাতে মাঠে ছুঠছেন তারা। প্রচণ্ড রোদ আর দাবদাহ উপেক্ষা করেই জমি থেকে কষ্টের ফসল ঘরে তোলার ব্যস্ততা তাদের। বছর ফলন আর দাম ভালো পেয়ে খুশি তারা।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলার ছয় উপজেলায় ৮০ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকা আর পরিমিত পরিচর্যার কারণে এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এখন মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ি তুলতে পারলেই লাঘব হবে সব কষ্ট।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর গ্রামের ধানচাষী লাল্টু মিয়া বলেন, আমি দুই বিঘে জমিতে সুবললতা ধানা লাগাইছিলাম। আজ ধান কাটছি। এবার পানি খরচ একটু বেশি হইয়েচে। তার পরও ফলন ভালো। ৩৩ শতকের বিঘেই আমার ২৫ মণ হারে ফলন হবে। তাতে আমার এবার ভালোই লাভ হচ্ছে।

সদর উপজেলার বাড়ীবাথান গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, আমি এবার ৬৩ জাতের ধানের আবাদ করিচি। ধানের জমিতে চাষ দেওয়া, লাগানো, সেচ, সার, ধান কাটা, বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৫-১৬ হাজার টাকা এবার খরচ হয়েছে। ৬৩ জাতের ধান বিঘাপ্রতি ৩০-৩৫ মণ হারে ফলন হয়েছে। এখন যে বাজারদর এক মণ ধান হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তাদের ধান বেচলে ৩৫ হাজার টাকা হবে। ধানে লাভ হচ্ছে ১০ হাজার। আর ধানের যে বিচালি আছে তার দাম মনে করেন হাজার টাকা। মোটামুটি এবার ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হয়েছে।

ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী বলেন, কয়েক দিন পর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ধান ৮০ ভাগ পেকে গেলে তা কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। আর শুরু থেকে কৃষক যেন ফলন ভালো পায়, এজন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের নানা প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন