এ বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই পুঁজিবাজারে বীমা খাতের শেয়ারের দর বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে সাধারণ বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে ধারাবাহিক ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেছে। এবার সাধারণ বীমার পাশাপাশি জীবন বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরও বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ কোম্পানি ও ফান্ডের বাজারদর। যদিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল বীমা খাত। গতকাল এ খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারদরই বেড়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্প মূলধনি হওয়ার কারণে বীমা খাতের শেয়ার সংখ্যা কম। ফলে এ খাতের শেয়ার নিয়ে সহজেই কারসাজি করা সম্ভব হয়। বাজারের চিহ্নিত কিছু পুরনো কারসাজি চক্রের সদস্যরা এক-দেড় মাস ধরে বীমা খাতের শেয়ারের দর কারসাজির মাধ্যমে বাড়াচ্ছে। এর আগেও এদের ফাঁদে পা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে। বর্তমানে অন্যান্য খাতের বেশকিছু মৌল ভিত্তির শেয়ারের দর আকর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে ভালো রিটার্নের জন্য এসব শেয়ারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এর কিছু সময় পর সূচকের সামান্য নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এরপর আবার উত্থান ও পতনের মাধ্যমে মিশ্র অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ দশমিক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা এর আগের কার্যদিবসে ছিল ৫ হাজার ৫১১ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল রেনাটা, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রাইম ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ১ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ২৪৮ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে গতকাল ২ হাজার ১১৮ দশমিক ৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ১১৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে।
