মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি বোরো মৌসুমে সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। খাদ্যশস্য সংগ্রহে ধানকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন।

গতকাল মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী রংপুর বিভাগের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহসংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে রাজশাহী রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

রাজশাহী রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবারের বোরো মৌসুমে লাখ ৫০ হাজার টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে এবং ১১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল ক্রয় করা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা করোনা মোকাবেলা করে সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, সেজন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে বলেন মন্ত্রী। এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যান এবং কোনোভাবেই যেন কৃষক হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেন খাদ্যমন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে খাদ্য সচিব . মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহী রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিকরা বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন