লালমনিরহাটে নতুন চাল বাজারে উঠলেও কমেনি দাম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে বাজারে নতুন চাল উঠতে শুরু করলেও দাম কমেনি। বাজারদর অপরিবর্তিত থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা। আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

লালমনিরহাটের বাজার ঘুরে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা ২৫ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চাল হাজার ১২৫ টাকা নতুন চাল ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা হাজার ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার খুচরা চাল বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, নতুন চাল এখনো সেভাবে বাজারে ওঠেনি, তাই চালের দাম এখনো কমেনি। নতুন চাল বাজারে আরো বেশি উঠলে দাম কমতে পারে।

লালমনিরহাটের চাল ব্যবসায়ী মো. মোসলেম দেওয়ান বলেন, ভারতের আমদানি করা চাল ২৫ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা হাজার ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। দেশীয় চিকন স্বর্ণা চাল ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা হাজার ৪৫০ মোটা চাল হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, নতুন ধানের মোটা চাল ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা হাজার ১০০ চিকন চাল হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে যথাক্রমে ৪২ ৪৮ টাকা।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মেসার্স ভাই ভাই রাইস এজেন্সির প্রোপ্রাইটর মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানির তেমন সুযোগ পাননি জেলার বড় চাল ব্যবসায়ীরা। চাল আমদানির বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে বাজারে চালের দাম কেজিতে - টাকা কমবে।

লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবু বলেন, ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রথম দফায় এক হাজার টন দ্বিতীয় দফায় এক হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছি। নতুন চাল বাজারে এলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

তিনি আরো বলেন, অন্যান্য জেলার মতো চাল আমদানির সুযোগ পেলে হয়তো রংপুর অঞ্চলে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার সুযোগ থাকত না। আগামীতে এসব বিষয় মাথায় রেখে চাল আমদানির বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।   

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) শামীম আশরাফ বলেন, নতুন ধান কেবল উঠতে শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহ পর পর্যাপ্ত ধান-চাল বাজারে সরবরাহ হলে হয়তো চালের দাম কিছুটা কমতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন