আমদানি বন্ধ

হিলিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

পেঁয়াজ আমদানির ছাড়পত্রের (আইপি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। পণ্যটির সরবরাহ কমায় পাঁচদিনের ব্যবধানে হিলিতে আমদানীকৃত দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে - টাকা। এদিকে লকডাউন রমজানের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সব শ্রেণীর মানুষ।

সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ কয়েক দিন আগে ২২-২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৭-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দেশীয় পেঁয়াজ আগে ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রমজান হোসেন আসলাম উদ্দিন বলেন, চার-পাঁচদিন আগে যে পেঁয়াজ কিনেছি ২০-২২ টাকা কেজি দরে, কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে ২৮ টাকা হয়ে গেছে। লকডাউনে কাজ কমে যাওয়ায় আয়-উপার্জন নেই বললেই চলে। এর ওপর রমজান মাস চলছে। অবস্থায় যদি পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। আর দেশীয় পেঁয়াজের গায়ে তো হাত দেয়া যাচ্ছে না। ৩০ টাকার পেঁয়াজ এখন ৩৫-৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বাড়ার কারণে বাধ্য হয়ে আগে যেখানে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতাম, এখন হাফ কেজি কিনছি। দাম কমলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভালো হতো।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন বলেন, আইপি শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। একইভাবে বাজারে আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দেশীয় পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। ফলে দেশীয় পেঁয়াজের দামও বাড়তে শুরু করেছে। মোকামেই পেঁয়াজের দাম বেশি, আমরা কী করব। আমরা বাড়তি দামে কিনে আনছি, বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে অনেক আমদানিকারক তাদের নিজস্ব গুদামে আগের আমদানীকৃত পেঁয়াজ মজুদ করে সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার আমদানি ছাড়পত্রের (আইপি) চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর একদিন আগেই আইপির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ওই দিন ৭টি ট্রাকে ১৭৩ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে কোনো আইপি ইস্যু করা হয়নি। ফলে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন