শিল্প মালিকদের চিঠি

বস্ত্র খাতের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও করমুক্ত সুবিধার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বস্ত্র খাতে ব্যবহূত সব ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক করমুক্ত সুবিধা দেয়ার দাবি জানিয়েছে বস্ত্র খাতের তিনটি সংগঠন। একই সঙ্গে ফাইবারের তৈরি সব ধরনের সুতার ওপর টাকা মূল্য সংযোজন কর ধার্য এবং বস্ত্র তৈরি পোশাক খাতে ব্যবহূত যাবতীয় যন্ত্রাংশের ওপর মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্যের প্রস্তাব দিয়েছে তারা। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিকেএমইএ এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ সংগঠন বিটিএমএর পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে টেক্সটাইল স্পিনিং মিলে ব্যবহূত সব ধরনের ফাইবারকে শুল্কমুক্তভাবে আমদানির বিধানসহ সব ধরনের সুতা তা যেকোনো ফাইবার দিয়েই তৈরি হোক না কেন, তার ওপর সমহারে মূসক ধার্য করার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠন তিনটি। বিষয়ে তারা বলছে, বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের স্পিনিং মিলগুলোতে বর্তমানে কাঁচামাল হিসেবে কাঁচা তুলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফাইবার ব্যবহূত হচ্ছে। এর মধ্যে পিএসএফ, ভিএসএফ, টেনসিল, মোডাল ইত্যাদি অন্যতম। আগামীতে হয়তো অন্যান্য ফাইবার ক্রেতার ক্রয়াদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সুতা তৈরির জন্য ব্যবহূত হবে। ফলে বর্তমানে শুধু সুতা তৈরির জন্য এসব ফাইবারই ব্যবহার হবে এমনও নয়। বিবেচনা থেকে এসব ফাইবারসহ যদি অন্য কোনো ফাইবার দিয়ে সুতা তৈরি হয়, তাহলে সেসব ফাইবারের ওপর থেকেই যাবতীয় শুল্ক কর প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। বর্তমানে যা শুধু কটন ফাইবার আমদানির ক্ষেত্রেই বিদ্যমান রয়েছে। একই সঙ্গে সব ধরনের সুতা তা যেকোনো ফাইবার দিয়েই তৈরি হোক না কেন, তার ওপর সমহারে মূসক ধার্য করা অত্যাবশ্যক। বর্তমানে যা শুধু কটন সুতার ওপর টাকা ধার্য রয়েছে। যদিও এর আগের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের সুতার ওপর টাকা মূল্য সংযোজন কর ধার্যের প্রস্তাব করেন।

দ্বিতীয় প্রস্তাব হলো, বস্ত্র খাতের স্পিনিং, ফ্যাব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ডায়িং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিলে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আমদানীকৃত যন্ত্রাংশকে শতাংশ শুল্কে, মূলধনি যন্ত্রাংশের মতো শুল্কে আমদানির বিধান করা। প্রস্তাবের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, বর্তমানে বস্ত্র তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহূত যন্ত্রাংশের ওপর ২৬ দশমিক শতাংশ থেকে ১০৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ হার পর্যন্ত শুল্ক কর ধার্য রয়েছে। শুল্ক কর দেয়ার পর আমদানীকৃত যন্ত্রাংশ দিয়ে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতামূূলকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাছাড়া টেক্সটাইল তৈরি পোশাক খাতে অসংখ্য যন্ত্রাংশ ব্যবহার হয়। যে কারণে প্রতিটির পৃথক এইচএস কোড উল্লেখ করে এসব যন্ত্রাংশ আমদানি করাও সম্ভব হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন