পাল্লেকেলে
ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গতকাল ৫ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে
বাংলাদেশ। আজ পঞ্চম ও শেষদিনে মাত্র ৫০ রান যোগ করেই ২২৭ রানে গুড়িয়ে যায়
বাংলাদেশের ইনিংস। ক্যান্ডি টেস্টের ফল- ২০৯ রানে হেরেছে সফরকারীরা।
গতকালই
শ্রীলংকার কাছে টেস্ট সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে
পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ, আজ শুধু বাকি ছিলো আনুষ্ঠানিকতা। শেষদিনের প্রথম সেশনে ১ ঘণ্টাও ব্যাট করতে
পারেনি বাংলাদেশ দল। মূলত লংকান স্পিনার জীবন জয়াবিক্রমা ও রমেশ মেন্ডিসের বোলিং
তোপেই খুব দ্রুত থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
আজ
সোমবার সকালে ইনিংসের ৫১তম ওভারে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে ফেরান
অভিষিক্ত জীবন জয়াবিক্রমা। স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬ রান যোগ হওয়ার পরেই প্যাভিলিয়নের
পথ ধরেন লিটন। এর আগে ৪৬ বল থেকে ১৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
এরপর দলীয় ২০৬ রানে তাইজুলকে ফেরত পাঠান
ধনঞ্জয় ডি সিলভা। পরে স্কোরবোর্ডে ২১ রান যোগ করে ২২৭ রানে ৮ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ইনিংসে ৭০তম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন পেসার তাসকিন আহমেদ। রমেশ মেন্ডিসের
বলে করুনারত্নের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ছিল ৩৩ বলে মাত্র ৭ রান। এর পর
আর কোনো ব্যাটসম্যানই রান করতে পারেননি।
তাসকিনের
পর ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ ৭১তম ওভারের তৃতীয় বলে
জয়বিক্রমার শিকারে পরিণত হন। ৮৬ বল থেকে ৩৯ রান সংগ্রহ করেন মিরাজ। এর আগে ইনিংসের
সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মুশফিকুর রহিম।
মিরাজের
বিদায়ের পরে মাত্র তিন বল মোকাবেলা করে জয়বিক্রমার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে গোল্ডেন
ডাকে ক্রিজ ছাড়েন টাইগার পেসার আবু জায়েদ রাহী। ২২৭ রানের মাথায় মোট তিন উইকেট
হারিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয়
ইনিংসে লংকান স্পিনার জয়বিক্রমা ৮৬ রানে নেন ৫ উইকেট। রমেশ মেন্ডিস ১০৩ রান দিয়ে ৪
উইকেট সংগ্রহ করেন।