চলতি অর্থবছরের বাজেটে করোনার প্রভাব বিবেচনায় না নিয়েই শিক্ষা খাতে গতানুগতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এ কারণে শিক্ষার পুনরুদ্ধারে বড় কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। তাই আগামী অর্থবছরের বাজেটে করোনার ক্ষতি পোষাতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
গতকাল বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘করোনা বিপর্যস্ত শিক্ষা: কেমন বাজেট চাই’ শীর্ষক ভার্চুয়াল শিক্ষা সংলাপে এ পরামর্শ দেয়া হয়। সংলাপে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় মিলে শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন অ্যারোমা দত্ত, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, ফারাহ্ কবীর, ড. মনজুর আহমেদ ও ড. এহসানুর রহমান।
সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সংলাপে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। আসলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনো কিছু বিষয়ে সমস্যা রয়ে গেছে। বিশেষ করে সাক্ষরতার বিষয়টি এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে আসেনি। স্বাক্ষরতার হার ও সংজ্ঞায়ন নিয়ে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা ও পরিসংখ্যান প্রয়োজন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শিক্ষার বরাদ্দ বাড়ানো হবে। বাজেটে শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বাজেটের আকার বড় করলেও সমস্যা সমাধান হয় না; এটি ব্যবহারে পরিকল্পনা, সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়।