সদ্য শেষ হওয়া একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের (অস্কার) ৯৩তম আসরে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নির্মাতা ক্লোয়ি ঝাও। তার ছবিটিও সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে। দুটো অস্কার হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গে এল আরেকটি বড় রকমের সুখবর। মারভেল স্টুডিওর সিনেমা ‘ইটারনালস’
নির্মাণ করছেন ক্লোয়ি ঝাও। ছবিটির শুটিং প্রায় শেষ। আগামী নভেম্বরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
খবরে বলা হয়, ৩৯ বছর বয়সী এ নির্মাতার ক্যারিয়ার সবে শুরু। তার অতি পছন্দের মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন দর্শকদের সামনে। সিনেমার নাম ‘ইটারনালস’। জ্যাক কির্বির কমিক সিরিজের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত বিগ বাজেটের এ সিনেমায় আছেন জেম্মা চান, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, সালমা হায়েক ও কুমাইল নানজিয়ানির মতো তারকারা। প্রথম তিনটি চলচ্চিত্রের তুলনায় এটি বিশাল চমক। করোনার প্রদুর্ভাব কমে এলে নভেম্বরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
মারভেল স্টুডিওর সভাপতি কেভিন ফেইগ বলেন, ‘সিনেমাটি নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পছন্দ ছিল ক্লোয়ি ঝাও। কিন্তু ক্লোয়ি প্রথমে ছবিটি নির্মাণ করতে চাননি। অবশেষে ঝাও ও মারভেলের নির্বাহী একসঙ্গে মিটিং করেন।’
কেভিন বলেন, ছবিটি আর সব মার্ভেল সিনেমার মতোই ভিজুয়াল ইফেক্ট ও গ্রিনস্ক্রিনে পরিপূর্ণ থাকবে, এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে ক্লোয়ি চাইছিলেন ভিজুয়াল ইফেক্টের চেয়ে তার পছন্দমতো বাস্তবিক অর্থে খুঁজে বের করে সত্যিকার লোকেশনে শুটিং করতে। এক পর্যায়ে তারা ডিজনির উচ্চতর অ্যাপগুলো দেখে ইটারনালসের নমুনা তৈরি করেন।
মারভেল প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা আমাকে বলতেই হচ্ছে, পুরো ব্যাপারটা ক্যামেরায় উঠে এসেছে। এখানে কোথাও ভিএফএক্সের কাজ নেই। কারণ এটা ছিল দারুণ একটি সূর্যাস্তের দৃশ্য, চমত্কার ঢেউ এবং বিশাল পাহাড় থেকে ছুটে আসা কুয়াশা। সব মিলিয়ে যা দাঁড়িয়েছে তা পুরাই চিত্রাকর্ষক।’
পরে নোমাডল্যান্ড দেখে এমন কিছু দৃশ্য তার চোখে পড়ে এবং তিনি মনে করেন এটা ক্লোয়ি ঝাওয়ের নিজস্বতা।
ইটারনালস ছবিটি নিয়ে চীনা নির্মাতা বলেন, ‘এটা খুবই সাহসী ও উচ্চাভিলাষী একটা প্রকল্প। এ গল্পে ব্যাপ্তি অনেক বড়। সাত হাজার বছরের মানব সম্প্রদায় ও আমাদের পৃথিবীর গল্প এতে ধরা দেবে।’
তিনি বলেন, মারভেলের এ ছবিতে একজন ভিন্নধর্মী এক সুপার হিরোকে দেখা যাবে। দেখা যাবে একটি বধির চরিত্রও। মারভেল টিমের সঙ্গে কাজ করা এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। আমি অনেক সাবধান ও সচেতনভাবে কাজ করছি। তবে আমি কাজটা করতে গিয়ে বিশ্বের সেরা সেরা প্রতিভাবানের সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছি। ফলে আমার কাজটা সহজ হয়েছে।
ভ্যারাইটিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ক্লোয়ি ঝাও জানান, মারভেলের এ ছবি নোমাডল্যান্ডের আগে শেষ করেছিলেন। কিন্তু করোনার প্রদুর্ভাবের কারণে এটা রেখে তিনি নোমাডল্যান্ড সম্পাদনায় মনোযোগ দেন।
সূত্র: ভ্যারাইটি ডটকম