অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই তিন বীমা কোম্পানির

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক শেয়ারদর লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের তিন কোম্পানির। কোম্পানিগুলো হলো গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ঢাকা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক চিঠির জবাবে তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি তিনটি।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি: বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৪০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ৪১ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারদরের পাশাপাশি লেনদেনেও সময় বেশ অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। এর মধ্যে এপ্রিল লাখ হাজার ৮৪৩টি শেয়ার লেনদেন হয়। এর পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে লেনদেন বাড়তে থাকে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ২০ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার লেনদেন হয়।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬২ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস ছিল ৫১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৯ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ টাকা ৮৯ পয়সা।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স: বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শেয়ারটি ৩৩ টাকায় লেনদেন হয়। শেয়ারদরের পাশাপাশি লেনদেনেও অস্বাভাবিকতা দেখা গেছে। এর মধ্যে এপ্রিল কোম্পানিটির ৭২ হাজার ৬০০ শেয়ার লেনদেন হয়। এর পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে লেনদেন বৃদ্ধি পায়। ১৯ এপ্রিল কোম্পানিটির ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৩৩৯টি শেয়ার লেনদেন হয়। আর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন ছিল ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৪টি।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭১ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৫৩ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের শতাংশ অন্তর্বর্তী নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স: বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়গত এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে বৃহস্পতিবার ৬২ টাকা পয়সা এসে দাঁড়ায়। অন্যদিকে এপ্রিলের পর থেকেই লেনদেনও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। ওইদিন কোম্পানিটির ৪৬ হাজার ৪৯টি শেয়ার লেনদেন হয়। যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪টি দাঁড়িয়েছে।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস ছিল টাকা ৯০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ৫৪ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস ছিল ৮০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫২ পয়সা। সমাপ্ত হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস (পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া) দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৯৪ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন