বিদেশফেরত যাত্রীর চাপ

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সময় কমছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ ফ্লাইট চালু করা হলেও মধ্যপ্রাচ্যসহ কয়েকটি দেশ থেকে পরবর্তী সময়ে সেসব ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রবাসীদের দেশে ফেরত আসারও সুযোগ দেয়া হয়। তবে প্রবাসীদের সঙ্গে ফেরত আসা যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখতে গিয়ে স্থান সংকুলান নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। অবস্থায় বিদেশফেরতদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন কমিয়ে পাঁচদিনে নিয়ে আসার চিন্তা করছে সরকার। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সময় পাঁচদিনে আনার বিষয়টি এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোয়ারেন্টিনের সময় কমাতে একটি প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

জানা গেছে, দিয়াবাড়ি হজ ক্যাম্পে সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আবাসন সুবিধা সীমিত। কারণে চাপ সামলাতে এয়ারলাইনসগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয় বিদেশ বোর্ডিং করার সময়ই যাত্রীদের হোটেলে বুকিং নিশ্চিত করতে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক স্বাস্থ্য বিভাগ পৃথক বার্তায় এয়ারলাইনসগুলোকে   নির্দেশনা দেয়। হোটেলে বুকিং না করলে যাত্রীদের বোর্ডিং কার্ড না দেয়ার জন্য বলা হয়। বাধ্য হয়ে প্রবাসীরা হোটেল বুকিং দিয়ে দেশে আসছেন। তবে হোটেলের খরচ বেশি হওয়ায় তারা হোটেল ভাড়া না দেয়ার কথা জানান। বাধ্য হয়ে কোনো কোনো যাত্রীকে হোটেল থেকে হজ ক্যাম্প দিয়াবাড়িতে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে বেবিচক। পরে প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার বিষয় বিবেচনা করে ১৭ এপ্রিল থেকে পাঁচ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলের বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়, যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রবাসীরা সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকতে পারবেন, পাশাপাশি কেউ চাইলে সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোতেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন।

এদিকে এয়ারলাইনসগুলো বলছে, হোটেলে কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করায় যাত্রীদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। অনেকেই হোটেলে থাকতে চান না, তারা সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে চান। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে তথ্য না থাকলে তো আমরা যাত্রীদের বোর্ডিংও করতে পারছি না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন