আঞ্চলিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার সক্ষমতা বাড়াতে পারে —আইসিসি বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯-কে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্য সবক্ষেত্রেই বিশ্ব ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রগুলো লকডাউন দিয়েছে। এর ফলে মারাত্মকভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সরকার সব অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। আইসিসি বাংলাদেশের ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২১) বুলেটিনের সম্পাদকীয়তে এমন বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে।

জানুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন প্রসপেক্টস, ২০২১ অনুসারে মহামারী বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দক্ষিণ এশিয়ায় গভীর ক্ষত তৈরি করেছে এবং প্রবৃদ্ধি চ্যাম্পিয়ন অঞ্চলকে ২০২০ সালের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স অঞ্চলে পরিণত করেছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, সংকট দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। বর্ধিত আঞ্চলিক সহযোগিতা নিকটবর্তী সময়ে মহামারী এবং এর অর্থনৈতিক ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অঞ্চলের সক্ষমতা জোরদার করতে পারে এবং একই সঙ্গে বর্ধমান আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য, প্রবৃদ্ধি ভাগাভাগির গতিবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধাও বয়ে আনতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার ব্যবসায়ীদের একযোগে কাজ করতে হবে।

ভাইরাসের নতুন ধরন এরই মধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো বিশ্ব আবার লকডাউন অন্যান্য সামাজিক বিধিনিষেধের দিকে এগিয়ে চলেছে, যা অঞ্চলের অর্থনীতিতে আরো প্রভাব ফেলবে। পরিস্থিতিতে পরবর্তী অর্থনৈতিক ক্ষতির ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। তবে যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশ সংকট মোকাবেলায় দক্ষ, তাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অঞ্চলের সরকার এবং সব স্টেকহোল্ডারকে অতীতের মতো একসঙ্গে কাজ করা এবং তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা ভবিষ্যতে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন