আবহাওয়ার পূর্বাভাসের জন্য সুপারকম্পিউটার নির্মাণে মাইক্রোসফটের সঙ্গে কাজ করে দ্য মেট অফিস। তারা জানায় এর মাধ্যমে আরো নিখুঁত পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ভালোভাবে গবেষণা করা যাবে। খবর বিবিসি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্য সরকার জানায়, এ প্রকল্পের জন্য তারা ১৬৭ কোটি ডলার খরচ করবেন। ২০২২ সালের গ্রীষ্মে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যার ফলে এটি বিশ্বের অন্যতম ২৫টি সুপারকম্পিউটারের মধ্যে একটি হিসেবে পরিগণিত হবে। আগামী এক দশকে মাইক্রোসফট এ সুপারকম্পিউটারের আপডেট প্রদান করে যাবে।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মরগান ওনেইল বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ুর বেসিক এবং অ্যাপ্লাইড বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এ চুক্তি অন্যতম একটি বিনিয়োগ।
তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষণার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের এ বিনিয়োগ খুবই ভালো একটি সংবাদ। এ বিনিয়োগের ফলে বিজ্ঞান ক্ষেত্রে যে উন্নতি হবে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি আমি।
এ সুপার কম্পিউটার, আবহাওয়া সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানাতে পারবে, আবহাওয়া সম্পর্কিত আরো স্যাটেলাইট ছবি গবেষণা করতে পারবে, স্থানীয় আবহাওয়া পূর্বাভাসের উন্নতি করতে পারবে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ব্যাপারে আরো ভালোভাবে শনাক্ত করতে পারবে।
তবে এ সুপারকম্পিউটার ঠিক কোথায় স্থাপন করা হবে সে সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে মেট অফিস জানায়, এটি যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ দিকে হতে পারে। এটি মাইক্রোসফট আজুরেস ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস এবং হিউলেট প্যাকার্ড এন্টারপ্রাইজের ক্রে সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করবে।
এ সুপারকম্পিউটার শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে চলবে। সেই সঙ্গে এতে ১৫ লাখ প্রসেসর কোর এবং ৬০টির বেশি পেটাফ্লপ থাকবে। যার ফলে এ সুপারকম্পিউটার দ্রুতগতির মাধ্যমে সঠিকভাবে আরো অধিক তথ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা করতে পারবে।
