হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালের দাম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে চালের দাম। এজন্য পণ্যটির আমদানি কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া লকডাউনে চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারদর কিছুটা অস্থিতিশীল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে - টাকা করে বেড়েছে। এদিকে লকডাউনের মধ্যেই চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর নিম্ন আয়ের মানুষ। চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভোক্তারা। অন্যদিকে আমদানিকারকদের দাবি, সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত আমন মৌসুমে দেশে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তখন ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানি করে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কয়েক দফায় দেশের বিভিন্ন আমদানিকারককে বেশ কয়েক লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এতে করে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধের পর গত জানুয়ারি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।

বর্তমানে বন্দরে স্বর্ণা জাতের চাল ৪১ টাকা থেকে বেড়ে ৪৩-৪৪ টাকা, রত্না জাতের চাল ৪৬ থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা, নাজিরশাইল জাতের চাল ৫২-৫৩ থেকে বেড়ে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা স্বপন কুমার বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি - টাকা করে বেড়েছে। এর কারণ হলো বন্দর দিয়ে চাল আমদানি আগের তুলনায় কম। অন্যদিকে ভোক্তাদের চাহিদাও বেশি।

চাল বিক্রেতা সুব্রত কুণ্ডু বলেন, সরকার যে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সেই এলসির চালই আমদানি হচ্ছে। নতুন করে চাল আমদানির এলসি দেয়নি। বোরো ধান উঠতে এখনো মাসখানেক সময় লাগবে। ফলে ব্যবসায়ীরা সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক মামুনুর রশীদ বলেন, সরকার যে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে তা শেষ পর্যায়ে। আর ভারতের যেসব চাল আটকা রয়েছে যানজটের কারণে তা ধীরে ধীরে অল্প পরিমাণে দেশের সীমানায় ঢুকছে। চাল আমদানি কমায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ বেড়ে গেলে চালের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ ট্রাক চাল আমদানি হতো। বর্তমানে আমদানি কমে ২৫-৩০ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। এতে বন্দরের আয় যেমন কমেছে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়ও কমেছে। বন্দর দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে পর্যন্ত লাখ ৪৩ হাজার ৪৫৯ টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ২১ হাজার ৬৮৫ টন চাল আমদানি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন