ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফাইজার-বায়োএনটেকের কভিড-১৯ টিকার ডোজপ্রতি ১৫ ইউরো ৫০ সেন্ট করে মূল্য পরিশোধ করছে। বুধবার স্পেনের সংবাদপত্র লা ভাংগুয়ার্দিয়ায় ফাঁস হওয়া ইইউর সঙ্গে সংস্থা দুটির স্বাক্ষরিত প্রথম চুক্তিতে এ তথ্য বলা হয়েছে। খবর রয়টার্স।
বেলজিয়ামের এ ডকুমেন্টে ইইউর বুক করা অন্য ডোজগুলোর দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এ তত্ত্বকে উসকে দিয়েছে যে ইইউ ডোজপ্রতি খুব কম অর্থ দেয়ায় টিকার সরবরাহ পেতে দেরি হচ্ছে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ফাঁস হওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তিপত্রে ডোজপ্রতি টিকার দাম এর চেয়ে বেশি ছিল।
ফাঁস হওয়া এ চুক্তির আওতায় ফাইজার ইইউতে প্রথম ২০ কোটি ডোজের জন্য প্রতি ডোজ গড়ে ১৫ ইউরো ৫০ সেন্ট দিতে সম্মত হয়েছিল। এ চুক্তিতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আরো ১০ কোটি ডোজ টিকার জন্য একই দাম দিতে সম্মত হয়েছিল ইইউ। তবে চুক্তি অনুযায়ী, এ সময়সীমার পর প্রতি ডোজ টিকা ১৭ ইউরো ৫০ সেন্ট করে দিতে হবে।
গত জানুয়ারিতে ইইউ ফাইজার-বায়োএনটেকের সঙ্গে আরো ৩০ কোটি ডোজ টিকার জন্য দ্বিতীয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইইউর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এ চুক্তিতে প্রথম চুক্তির মতোই দাম ধরা হয়েছিল। ফাঁস হওয়া চুক্তিতে দেখা যায়, ইইউ প্রথম ২০ কোটি ডোজের জন্য ডিসেম্বরে ফাইজার ও বায়োএনটেককে ৭০ কোটি ইউরো অগ্রিম পরিশোধ করেছে।
২৭ দেশের এ ব্লক এখন দুই কোম্পানির সঙ্গে তৃতীয় চুক্তির জন্য আলোচনা করছে। এ চুক্তিতে ১৮০ কোটি ডোজ টিকার জন্য প্রতি ডোজ ১৯ ইউরো ৫০ সেন্ট করে দেয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরবরাহের জন্য কঠোর শর্ত এবং ভাইরাসটির পরিবর্তিত রূপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে টিকার সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
