ক্যান্ডি টেস্টে বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় দ্বিতীয় দিনের খেলা অনেকটা আগেভাগেই শেষ হয়ে যায়। তবু পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে চালকের আসনে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে সংহত অবস্থান গড়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে সফরকারী দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান। মুশফিকুর রহিম ৪৩ ও লিটন দাস ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত।
শান্ত ও মুমিনুলের ২৪২ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপে
বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত তৈরি হয়ে যায়। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে সংগ্রহটা বড় করছিলেন
মুশফিক ও লিটন। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের দুই কাণ্ডারি
১৫.১ ওভারে ৫০ রান যোগ করেছেন। আজ তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করেই রানসৌধে ওঠার চেষ্টা
করবে বাংলাদেশ।
টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করা শান্ত আজ ৩৭ রান
যোগ করে আউট হয়ে যান। লাহিরু কুমারার বলে ফিরতি ক্যাচ দেয়া শান্ত ৩৭৮ বলে ১৭ বাউন্ডারি
ও এক ছক্কায় খেলেন ১৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। এরপর ৩০ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন বিদেশের
মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া মুমিনুলও। তিনি ১২৭ রান করেন ৩০৪ বলের মোকাবেলায়। ধনঞ্জয়া
ডি সিলভার বলে লাহিরু থিরিমান্নেকে ক্যাচ দেন ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি করা মুমিনুল।
বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দেশের হয়ে
রেকর্ড ২৪২ রান করেন মুমিনুল ও শান্ত। আগের রেকর্ডটার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে মুমিনুলের নাম।
২০১৮ সালে চট্টগ্রামে এই শ্রীলংকার বিপক্ষেই ২৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মুমিনুল ও মুশফিকুর
রহিম।
শান্ত-মুমিনুল ও পরে মুশফিক-লিটনের দৃঢ়তায় দ্বিতীয়
দিনটা বাংলাদেশেরই ছিল। এদিন ৬৫ ওভার ব্যাটিং করে বোর্ডে ১৭২ রান যোগ করতে সমর্থ হয়
বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিন অন্তত ২৫ ওভারের খেলা নষ্ট হওয়ায় আগামীকাল তৃতীয় দিন নির্ধারিত সময়ের
১৫ মিনিট আগে খেলা শুরু হবে, শেষ হবে স্থানীয় সময় বেলা ৫টা ১৫ মিনিটে। চেষ্টা করা
হবে অন্তত ৯৮ ওভার শেষ করার।