পঞ্চগড় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কর্মচারীদের বেতনের টাকা আত্মসাৎ ও নতুন সংযোগ বাবদ ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন নেসকোর পঞ্চগড় শাখার পিচরেট কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পঞ্চগড় পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান আপেল ও সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম হোসেন প্রধান আবিদ।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম হোসেন প্রধান আবিদ বলেন, পঞ্চগড় নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিফুর রহমান কোনো কারণ ছাড়াই ১৪ জন পিচরেট কর্মচারীর বেতনের ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। আগে নিয়মিত বেতন দিলেও গত ডিসেম্বরের পিচরেট কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করছেন না। নেসকোর হিসাবরক্ষক ইসাহাক আলীর কাছে বেতন চাইতে গেলে তিনি জানান, ডিসেম্বরের বেতন নির্বাহী প্রকৌশলীর হাতে রয়েছে। অন্যান্য মাসের বেতন প্রদান করলেও তিনি ডিসেম্বরের বেতন দিচ্ছেন না। কোনো কারণ ছাড়াই তিনি তাদের এক মাসের বেতন তুলে নিয়ে নিজের কাজে খরচ করেছেন।
সংগঠনটির সভাপতি আসাদুজ্জামান আপেল জানান, এ নির্বাহী প্রকৌশলী পঞ্চগড়ে যোগদানের পর থেকেই নানা রকম দুর্নীতি শুরু করেছেন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছে আমাদের পিচরেট কর্মচারীরা। এজন্যই পিচরেট কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি কয়েকজনকে চাকরিচ্যুতও করা করেছে। বর্তমানে নেসকো অফিসে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নিতে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা গ্রহণ করেন। তিনি বিদ্যুতের খুঁটি সরবরাহের জন্য মোটা অংকের ঘুষ নেন। এসব কাজে কর্মচারীদের ব্যবহার করেন তিনি। নেসকোর অধীনে চা কারখানায় সংযোগ দেয়ার সময় অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন নেসকোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আতিফুর রহমান। চা কারখানায় সংযোগ নেয়ার সময় অতিরিক্ত ঘুষ দিতে হয়েছে ওই প্রকৌশলীকে।
বক্তারা বলেন, দ্রুততম সময়ে ডিসেম্বরের বেতন পরিশোধ না করলে আদালতে মামলা করব। সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আতিফুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ফোনের সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরে তার অফিসের বিটিআরসির ল্যান্ড ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
