কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি মোকাবেলায় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে কোমল পানীয় বাজারজাত প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেমস কুইন্সি দাম বাড়ার এ ঘোষণা দেন।
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় অন্য দুই কোমল পানীয় বাজারজাত প্রতিষ্ঠান কিম্বারলি ক্লার্ক ও জে এম স্মুকারের সঙ্গে যোগ দিল কোকা-কোলা। এ পদক্ষেপ তাদের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তবে মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাবে এরই মধ্যে নগদ অর্থের সংকটে থাকা গ্রাহকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
কোকা-কোলার সিইও বলেন, আমরা ২০২১ সালে ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু ২০২২ সাল নিয়ে চাপে আছি। এজন্যই আমাদের কিছুটা দাম বাড়াতে হবে। তবে এটা পরিচালনা করতে হবে খুবই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে। আমরা গ্রাহকদের বিভিন্ন প্যাকেজ সাইজ নিয়ে চিন্তা করছি, যাতে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি গ্রাহকদের ওপর খুব বেশি প্রভাব না ফেলে।
মহামারীর ফলে মানুষের ঘরে থাকার অভ্যাস বিবেচনা করে কোকের বড় প্যাকেজিংয়ের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে, যাতে গ্রাহকদের ঘন ঘন মুদি দোকানে ছুটতে না হয়। তবে মহামারীর আগে কোক ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী পেপসিকো ছোট ক্যান ও বোতলের দিকে ঝুঁকছিল। এতে আউন্সপ্রতি গ্রাহকদের বেশি অর্থ গুনতে হয় এবং এটা প্রস্তুতকারকদের জন্য বেশি লাভজনক।
গত সপ্তাহে পেপসির নির্বাহী বলেছিলেন, মহামারীর এ সংকট বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ছোট বোতল ও ক্যানের দিকে ফিরে যাবে।
তবে কোন কোক পণ্যে দাম বাড়ছে, তা কোকা-কোলার সিইও নিশ্চিত করেননি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) ফল প্রকাশের পর কোকের শেয়ারদর ১ শতাংশ বেড়েছে। সংস্থাটি সর্বশেষ ২০১৮ সালে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। সে সময় তারা তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে অ্যালুমিনিয়ামে শুল্কের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছিল।
