বারসামার মালয়েশিয়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় ডাটা সেন্টার তৈরিতে আগামী পাঁচ বছরে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট। দেশটির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ কাজ করা হবে বলে জানা গেছে। বারসামা মালয়েশিয়ার উদ্বোধনকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহইদ্দিন ইয়াসিন এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্স।
গত তিন দশকের মধ্যে মালয়েশিয়ায় মাইক্রোসফটের এ বিনিয়োগকে সবচেয়ে সার্থক বলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে এ টেক জায়ান্ট প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ায় ডাটা সেন্টার স্থাপন করবে। প্রধানমন্ত্রী মুহিইদ্দিন বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে অনেক ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে। যেখানে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ডাটা প্রক্রিয়া করা হবে। এ ডাটা সেন্টার স্থাপনের ফলে দেশে ১৯ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, যার মধ্যে চার হাজারই আইটি সম্পর্কিত। এছাড়া এ প্রকল্পে মালয়েশিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মডার্নাইজেশন, ম্যানেজম্যান্ট প্ল্যানিং ইউনিট, হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, পেট্রোনার, সেলকম ও গ্র্যাবের সঙ্গেও মাইক্রোসফটের চুক্তি রয়েছে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বলেন, মাইক্রোসফটের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০ লাখ অধিবাসীর স্কিল বাড়াবে। আমি আশা করছি, এ চুক্তির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার অধিবাসীরা প্রযুক্তি চর্চার মাধ্যমে আধুনিক যুগের সঙ্গে আরো যুক্ত হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাইক্রোসফট জনপরিসরে ক্লাউড পরিষেবা সরবরাহ করবে বলেও জানান তিনি।
মুহইদ্দিন ইয়াসিন জানান, এ প্রকল্পের সার্বিক পরিকল্পনা মাইডিজিটাল ইনিশিয়েটিভ ও মালয়েশিয়া ডিজিটাল ইকোনমি ব্লুপ্রিন্টের সমন্বয়ে করা হয়েছে। যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশে ফাইভজি প্রযুক্তির অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণ।
মাইক্রোসফট করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিন ফিলিপ কোর্টিস বলেন, দেশের তরুণ, যুবক এবং যারা শারীরিকভাবে অক্ষম, তাদেরকে ডিজিটাল ও সাবস্কিল প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্যই মালয়েশিয়ার সরকারি ও অঞ্চলভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ চুক্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মালয়েশিয়ার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে মাইক্রোসফটের প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের জন্য দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কাজ করবে এ প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাইক্রোসফটের কনটেন্ট একীভূত করতেও কাজ করা হচ্ছে।
