নির্ধারিত সময়ে বড় প্রকল্পগুলো শেষ করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পগুলোর কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি তিনি প্রকল্পগুলোর কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল নিজ বাসভবন থেকে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কভিডের সঙ্গে বসবাস করেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কভিড কবে যাবে পৃথিবী থেকে কেউ জানে না। কাজেই কভিডের মধ্যেই আমাদের কাজ করতে শিখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি বজায় রাখতে হবে। দরকার হলে আরো বাড়াতে হবে। আমরা যে লক্ষ্য দিয়েছি, সে লক্ষ্য অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করতে হবে।

সময় সেতু বিভাগের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল), ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বাস র্যাপিড ট্রানজিট চার প্রকল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ কভিডের কারণে স্থবির হওয়ার কারণ নেই। কাজগুলো যথারীতি এগিয়ে নিতে যেতে হবে। পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ সার্বিক অগ্রগতি ৮৫ ভাগ। এটা ভালো অগ্রগতি। আমি আশা করি, প্রকল্পের কাজ এভাবেই চলবে। আমাদের লক্ষ্য আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া। এর মধ্যেই সেতুর কাজটি আশা করি সম্পন্ন হবে।

কর্ণফুলী টানেলের কাজও ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথম টিউবের পর দ্বিতীয় টিউবও এক কিলোমিটার হয়ে গেছে। কাজ চলছে। কর্ণফুলী টানেলের অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের যে অংশটা সেতু বিভাগের. সে অংশটির কাজও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে যে রাস্তার ওপর (বিমানবন্দর-গাজীপুর) প্রকল্পটি হচ্ছে, তার ট্রাফিক অনেক বেশি। এখন রমজান, সামনে ঈদ আসছে। আবার বর্ষাকালও আছে। প্রকল্পের কারণে রাস্তায় জনভোগান্তি হয়। প্রকল্পে সেতু বিভাগের যে কাজ, এই কাজ আপাতত রাস্তাটা ইউজেবল, পাসেবল থাকার মতো করে রাখতে হবে। একইভাবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের কাজ ৬২ শতাংশ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন