তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়নে মূল্য তালিকা ঝোলানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। পরিবেশক, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে এ মূল্য তালিকা লাগানো হবে। কমিশন সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।
কমিশন ১২ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি এলপিজির দাম ঘোষণা করেছে। বেসরকারি ১২ কেজি এলপিজির দাম ৯৭৫ টাকা এবং সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম ৫৯১ টাকা। দাম ঘোষণার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও রাজধানীতে তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।
বিইআরসির সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরে কমিশন নির্ধারিত এলপিজির দাম বাস্তবায়নে বিক্রেতার দোকানে মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে দেয়ার চিন্তা করছি, যাতে ভোক্তা সেটি দেখে এলপি গ্যাস কিনতে পারেন। এতে ভোক্তা পণ্য কিনতে গেলে আর ঠকবেন না।
এদিকে এখন পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি করতে পরিবেশক, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য কোনো নির্দেশনা দিতে পারেনি বেসরকারি এলপিজি কোম্পানিগুলো। বরং যে দামের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তা পুনর্নির্ধারণের জন্য কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে অপারেটররা।
তবে কমিশন নির্ধারিত এলপিজির মূল্য বাস্তবায়ন না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুস জলিল। তিনি বলেন, কমিশন যে আদেশ দিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতেই হবে।
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। ওইদিন থেকেই সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে এলপি গ্যাস বিক্রি করার আদেশ দেয় কমিশন। কিন্তু ঘোষণা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে অপারেটররা।
