হিলি স্থলবন্দর

প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব এসেছে ২৮১ কোটি টাকা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

করোনা মহামারীর মধ্যেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর অব্যাহতভাবে রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে দেশের উত্তরের বন্দর।

চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ২১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যার বিপরীতে আহরিত হয়েছে ২৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩০ ভাগ। এর মধ্যে আবার শুধু মার্চেই বন্দর থেকে ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণ করা হয়েছে। অর্থবছরের বাকি তিন মাসেও লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে বাড়তি রাজস্ব আহরণের আশা হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।

হিলি স্থল শুল্কস্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে দিনাজপুরের হিলি স্থল শুল্কস্টেশন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় ৩১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সে মোতাবেক অর্থবছরের শুরুতে জুলাইয়ে বন্দর থেকে কোটি ৭৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ করা হয়েছে ৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগস্টে ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বিপরীতে আসে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিপরীতে আসে ২০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অক্টোবরে ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ করা হয় ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। নভেম্বরে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ৫২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং মার্চে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ করা হয়েছে ৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

এর মধ্য দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে জুলাই-মার্চ সময়ে ২১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রাজস্ব এসেছে ২৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। একই সময়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ১৫৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুণ উর রশীদ বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোতে পাথর সরবরাহ করছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। কারণে প্রচুর পরিমাণে পাথর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হচ্ছে, একইভাবে দেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দীর্ঘদিন পর চালও আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি জিরা, আদা, বাদাম, গম, ভুট্টা, খৈলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে, যে কারণে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

তবে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন ফল আমদানির ক্ষেত্রে গাড়ির চাকা অনুযায়ী শুল্কায়নের প্রথা কর্মাশিয়াল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অন্য বন্দরের চেয়ে হিলিতে শুল্কায়ন বেশি। অর্থাৎ একই পণ্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে বাড়তি মূল্যে শুল্কায়নের পদ্ধতি চালু রয়েছে। এসব কিছু পরিহার করে সব বন্দরকে একই নিয়ম-নীতির আওতায় পরিচালনা করা হলে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি।

হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন