ফুটপাতে অফিসগামী মানুষের গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা। চেকপোস্টে আট-দশজন পুলিশ দায়িত্বরত। গণপরিবহন
না থাকলেও ঢাকার রাস্তা এখন প্রাইভেটকার,
মোটর সাইকেল এবং রিক্সার
দখলে। এসব
যানবাহনের
মধ্যে মোটরসাইকেল আরোহীর গতিরোধ করে মুভমেন্ট
পাসসহ
অন্যান্য কাগজপত্র চেক
করতেই বেশি তৎপর দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
এটি লকডাউনের পঞ্চম দিনে সকাল সাড়ে নয়টার রাজধানীর ফার্মগেট ফুটওভারব্রিজ সংলগ্ন পুলিশ চেকপোস্টের চিত্র।
অবশ্য, চেকপোস্টে দীর্ঘ সময় পরপর দুএকটি প্রাইভেটকারও থামাতে দেখা যায়। তবে দু’দিনের তুলনায় আজ অনেক বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি চোখে পরেছে।
এসময়
কথা হয় সাভার থেকে আসা
অফিসগামী একটি ব্রোকার
হাউজের ইনচারজ রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। সাথে ছিল চলাচলের প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র। তবে, চেকপোস্ট পার হতে কিছুটা বেগ পোহাতে হয়, লম্বা সময় জেরা করা হয় তাকে।
একই
পথে যাচ্ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. শাহজাহান। মুভমেন্ট পাস ছাড়াই বের
হওয়ায় জরিমানা গুনতে হয় তাকে।
বিজয়
সরণী, খামামবাড়ী
মোড়, ও কারওয়ান বাজার এলাকায় সকালে এমন
পরিস্থিতিই দেখা গেছে।
এসময়
চেকপোস্টে দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, রাস্তায়
মানুষের চলাচল
বাড়ছে মুভমেন্ট পাসও নিচ্ছে অনেকে। তবে যারা নেননি তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন।
পুলিশের তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর মো. আলতাফ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, আজ রোববার বিভিন্ন অফিস খোলায় গত কয়েকদিনের তুলনায় মানুষজন বেশি।
অফিসগামী, জরুরী সেবা,
বিভিন্ন প্রয়োজন ছাড়া যারা বের হচ্ছেন আমরা তাদের সচেতন করছি। এছাড়াও মোটর সাইকেলে
দুজন চলাচল নিরুৎসাহিত করছি। প্রাইভেটকার গুলো স্টিকার দেখে ছেড়ে দিচ্ছি, বিভিন্ন স্থানে বার বার চেক হচ্ছে এজন্য
আমরা সব গাড়ি থামাচ্ছি
না।