নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম বাজারজাত, গ্রেপ্তার ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

নকল চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি বাজারজাতকরণের অভিযোগে রাজধানীর তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব)-২। আজ শুক্রবার বিকেলে বাহিনীটির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান র‍্যাব- এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান বনানীর এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড হাইটেক হেলথকেয়ার লিমিটেড নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওয়্যারহাউজে অভিযান চালায় র‍্যাব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এসময় মোট ৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্ত্বাধিকারী শামীম মোল্লা, ম্যানেজার শহীদুল আলম, এক্সন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেড এর এমডি মাহমুদুল হাসান, হাইটেক হেলথ কেয়ার লিমিটেড এর এস এম মোস্তফা কামাল, বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল এর ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল বাকী ছাব্বির,অফিস সহকারী জিয়াউর রহমান, হিসাব রক্ষক মো. সুমন,  অফিস ক্লার্ক মার্কেটিং অফিসার জাহিদুল আমিন পুলক, ও সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার সোহেল রানাএসময় অফিসগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ জাল মেয়াদ সম্বলিত ভেজাল মেডিকেল টেস্ট কিট রি-এজেন্ট জব্দ করা হয়

লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিশেষ ধরণের প্রিন্টিং মেশিনের সাহায্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও অল্প মেয়াদ রয়েছে, এমন বিভিন্ন টেস্ট কিট রি-এজেন্টসমূহের মেয়াদ বাড়ানোর কাজ চলছে পরবর্তীতে তাদের ওয়্যারহাউজ তল্লাশী করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সেখানে দেখা যায় মজুদ বেশির ভাগ মেডিকেল ডিভাইসেরই অনুমোদন নেই।  প্রায় সব টেস্ট কিট রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ বা কয়েকদিনের মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে, তারা দেশি-বিদেশি আমদানিকারক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অতি স্বল্পমূল্যে সংগ্রহ করে আবার তাতে বর্ধিত মেয়াদ ও  তারিখ বিশেষ মুদ্রণ যন্ত্রের সাহায্যে মুদ্রণ বা টেম্পারিং করে এসব  বাজারজাত করছিল পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য  টেস্ট কিট রি-এজেন্টও তারা নিয়মিতভাবে সরবরাহ করে আসছিল

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, তারা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এসব কিট সরবরাহ করতো তদন্তে সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম বের হয়ে আসবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা প্রথমে মোহাম্মদপুরে বায়োল্যাব ইন্টারন্যাশনাল অভিযান চালাই পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি অভিযান চলে অধিকাংশ সামগ্রী তারা আমদানি করেন চীন থেকে আমদানি রফতানি চ্যানেলের মাধ্যমে তারা এসব সামগ্রী আনেন এছাড়া জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকেও এই সামগ্রী আনা হয়। এগুলোর একটিও সুপরিচিত নয় বিদেশের যে সব পন্য তারা আনে, তার বেশির ভাগেরই মেয়াদ নেই।এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনো নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন