করোনাভাইরাসের দাপটে ধুঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের উপরের দিকে আছে চলচ্চিত্র শিল্প। বেশির ভাগ দেশে সিনেমা হল প্রায় বন্ধ। বিধিনিষেধ মেনে যতটুকু খোলা হচ্ছে তাতে দর্শকরা নিরাপত্তার কথা ভেবে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না। গত এক বছরে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘টেনেট’,
প্যাটি জেনকিনসের ওয়ান্ডার উইম্যান নাইন্টিন এইটিফোর ও অ্যাডাম উইংগার্ড পরিচালিত ‘গডজিলা ভার্সেস কং’
ছাড়া বিগ বাজেটের আর কোনো সিনেমা মুক্তির সাহস দেখাননি প্রযোজকরা। তাই একের পর এক তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা হলিউডের বিগ বাজেট সিনেমাগুলোর।
নিউইয়র্কের বিনোদনভিত্তিক ওয়েবসাইট ভালচার জানিয়েছে, মুক্তি পেছানোর তালিকায় সবার আগে উল্লেখ করার মতো ছবি ‘অ্যাভাটার-টু’। জেমস ক্যামেরন পরিচালিত অ্যাভাটার সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা এটি। সিনেমা ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ছবির একটি অ্যাভাটারের দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তির কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় মুক্তির তারিখ পিছিয়ে গেছে ঠিক এক বছর, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তির কথা জানিয়েছে ভালচার।
জেমস বন্ড হিসেবে ড্যানিয়েল ক্রেগের শেষ ছবি ‘নো টাইম টু ডাই’। সংগতকারণে ছবিটির জন্য অপেক্ষা করছিল সারা বিশ্বের বন্ড ভক্তরা। ২০২০ সালের ১০ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটি। মহামারী ঝড়ে প্রথম দফা মুক্তি পিছিয়ে ওই সালের নভেম্বরে নেয়া হয়। নভেম্বরেও বিশ্বে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ২০২১ সালের ২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয় মুক্তির তারিখ। কিন্তু প্রযোজকরা এপ্রিলেও মুক্তি দিতে পারেননি সিনেমাটি। নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ৮ অক্টোবর ২০২১। বিশ্বের ভয়ংকর সব শত্রুকে নাস্তানাবুদ করা জেমস বন্ড করোনার কাছে নাজেহাল হচ্ছে বারবার!
টম ক্রুজ অভিনীত মিশন ইম্পসিবল সিরিজের সিনেমার ভক্তও আছে বিশ্বজুড়ে। ২০২১-এর জুলাইয়ে মুক্তির কথা ছিল সিরিজের সপ্তম ছবি ‘মিশন ইম্পসিবল-৭’। দুই দফা পিছিয়ে বর্তমানে ছবিটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ হয়েছে ২৭ মে ২০২২। ফলে ‘মিশন ইম্পসিবল-৮’
আগস্ট ২০২২ থেকে পিছিয়ে চলে গেছে জুলাই ২০২৩-এ।
মুক্তি পেছানোর তালিকায় আছে ‘ব্ল্যাক উইডো’,
‘সিন্ড্রেলা’,
‘দ্য কনজিউরিং: দ্য ডেভিল মেড মি ডু ইট’,
‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ভ্র: ডমিনিউনসহ হলিউডের শতাধিক ছবি।
সূত্র: ভালচার