২০২২ পর্যন্ত চিপ সংকট বহাল থাকবে, শঙ্কা টিএসএমসির

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী চলমান চিপ সংকট নিরসনে নিজেদের উৎপাদন কাজ বাড়িয়েছে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড (টিএসএমসি) কিন্তু সাপ্লাই চেইন সংকটের কারণে আগামী বছর নাগাদ সংকট ভোগাবে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।

এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে টিএসএমসির শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিসি ওয়েই বলেন, আমরা নতুন জমি যন্ত্রপাতি কিনেছি যাতে নতুন কারখানা নির্মাণ করা যায়। বিভিন্ন সাইটে চিপ তৈরি বৃদ্ধিতে নতুন হাজারো কর্মী নিয়োগ দিচ্ছি।

সক্ষমতা বাড়িয়ে দাম যেন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সে চেষ্টা চালাচ্ছে টিএসএমসি। কিন্তু সহসাই সংকট সমাধানযোগ্য নয় বলে মনে করছে তাইওয়ানভিত্তিক কোম্পানিটি।

চলমান চিপ সংকট নিরসনে আরো কয়েক বছর লেগে যাবে, একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইনটেলের সিইও প্যাট গেলসিংগার। গত বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে মন্তব্য করেন তিনি।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১৯ দশমিক শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধির খবরের মধ্যে আশঙ্কার কথা জানায় টিএসএমসি। মহামারীর কারণে ঘরে বসে কাজ বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক চিপের চাহিদা বেশ চাঙ্গা। কারণ মানুষের স্মার্টফোন ল্যাপটপ ব্যবহার বেড়েছে। অ্যাপল কোয়ালকমের মতো প্রতিষ্ঠান নিজেদের গ্রাহক তালিকায় থাকায় গত কয়েক বছর ধরেই চাঙ্গা প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে টিএসএমসি। শুরুতে চিপ স্বল্পতা কেবল গাড়ি নির্মাতাদের ভোগাচ্ছিল। কিন্তু এখন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এমনকি গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ভোগাচ্ছে।

গতকাল টিএসএমসি আশা প্রকাশ করে, আগামী প্রান্তিকের মধ্যে তাদের গাড়ি শিল্প গ্রাহকদের চিপ সংকট নিরসন হবে।

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে টিএসএমসির নিট মুনাফা হয়েছিল ১৩ হাজার ৯৭০ কোটি তাইওয়ানিজ ডলার বা ৪৯৩ কোটি ডলার। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভের পূর্বাভাস যেখানে ছিল ১৩ হাজার ৪০১ কোটি তাইওয়ানিজ ডলার। কোম্পানির মোট আয় ২৫ দশমিক শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ২৯২ কোটি ডলার।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে টিএসএমসির হাজার ২৯০ কোটি ডলার থেকে হাজার ৩২০ কোটি ডলার আয়ের পূর্বাভাস রেফিনিটিভের।

চলতি মাসের শুরুতে টিএসএমসি জানায়, বিভিন্ন কারখানায় চিপ নির্মাণ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আগামী তিন বছরের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে তারা। ইনটেলও তার কয়েকদিন আগে হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল।

সামনের দিনগুলোতে ফাইভজি প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংবলিত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার বৃদ্ধিতে চিপের চাহিদা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চলতি বছর নিয়ে টিএসএমসির শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ শতাংশ। এতে কোম্পানির বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার, যা ইনটেলের চেয়ে দ্বিগুণ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংয়ের চেয়েও বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন