২০০৪ সালে সুনামিতে ধ্বংস হওয়া ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের ১০ লাখ টন দূষিত পানি সমুদ্রে ফেলবে জাপান। মঙ্গলবার জাপান সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জাপানের এই ঘোষণাকে চীনের পক্ষ থেকে ‘প্রচণ্ড দায়িত্বজ্ঞানহীন’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া জাপান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।
দুই বছরের মধ্যে সমুদ্রে পানি ফেলার এই পক্রিয়া শুরু করার জন্য টোকিও বিদ্যুত্ বিভাগের প্রধানকে পানিতে থাকা ক্ষতিকর আইসোটোপ অপসারণ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে জাপান। জাপান সরকার যুক্তি দেখিয়েছে যে, ২০০৪ সালের সুনামি ও ২০১১ সালের ভূমিকম্পের পর বিদ্যুত্ কেন্দ্রের নিরাপত্তার স্বার্থে এই পানি সরিয়ে ফেলা জরুরী হয়ে পড়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অলিম্পিকের সুইমিং পুলের মতো পাঁচশটি সুইমিং পুলের সমপরিমাণ জায়গায় থেকে ১০ লাখ টনের বেশি দূষিত পানি সরাতে তাদের খরচ হবে প্রায় নয়শ ১৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদো সুগা বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্থ ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র এলাকাটা পুনর্গঠন জরুরী হয়ে পড়েছে। যদিও এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দশ বছরের বেশি সময় লাগবে বলে তিনি জানান।
তবে জাপানের এই সিদ্ধান্তকে ‘কোনো ভাবেই মানা সম্ভব না’ বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ বিষয়ে তারা অফিসিয়ালি পদক্ষেপ নেবে দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন। এ ঘোষণার পর পরই দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী শিউলে জাপান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করছে কিছু মানুষ। তারা জাপানের এই সিদ্ধান্তকে ‘পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিসপিস জাপান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় দুই লাখ মানুষের স্বাক্ষর নিয়েছে সংগঠনটি।