গত শনিবার এল ক্ল্যাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজিত বার্সেলোনা দুইদিনের ব্যবধানে অন্যরকম এক প্রতিশোধ নিল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবল ক্লাবের মুকুট এখন কাতালানদের। গত অর্থবছর ক্লাবটির মূল্য ছিল ৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস সোমবার দিয়েছে এমন তথ্য।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের মূল্যমান ৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। ক্লাবটি আগে পাঁচবার ফোর্বসের সমীক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্লাবের সম্মান পেয়েছে।
ফোর্বস জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারী সত্বেও গত দুই বছরের তুলনায় বিশ্বের শীর্ষ ২০টি ক্লাবের মূল্য ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
গত মৌসুমে ম্যাচ-ডে রাজস্ব এসেছে ৪৪ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা ২০১৭-১৮ মৌসুমের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাইক ওজানিয়ান লিখেছেন, আর্থিক ক্ষতি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে ক্লাবগুলো। ইউরোপের শীর্ষ লিগের ক্লাবগুলো এখনো সীমিত সংখ্যক দর্শক কিংবা একেবারেই দর্শকশুন্য মাঠে ম্যাচগুলো আয়োজন করছে। তারপরেও ম্যাচের দিন যে পরিমান রাজস্ব আয়ের ক্ষতি গত বছর হয়েছিল তা থেকে ক্লাবগুলো বেরিয়ে এসেছে।
৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্য নিয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। প্রিমিয়ার লিগের ‘বিগ সিক্স’ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইডেট, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, আর্সেনাল ও টটেনহাম হটস্পার্স শীর্ষ ১০ এর মধ্যে রয়েছে।
৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমান নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে ম্যানইউ। এর পরেই লিভারপুল (৪.১ বিলিয়ন ডলার), ম্যানসিটি (৪.০ বিলিয়ন ডলার), চেলসি (৩.২ বিলিয়ন ডলার), আর্সেনাল (২.৮ বিলিয়ন ডলার), পিএসজি (২.৫ বিলিয়ন ডলার) ও টটেনহাম (৯২.৩ বিলিয়ন ডলার)।
গত দুই বছরে মূল্যমান ১২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের। গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলা দলটি ২.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যমান নিয়ে রয়েছে তালিকার নবম স্থানে।
মোট মূল্যমানের তালিকায় অবনমন ঘটলেও সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে ম্যানইউ। গত বছর তাদের মুনাফা এসেছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার, এ সময় তারা রাজস্ব আহরণ করেছে ৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
সূত্র: বিবিসি