বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

মে মাসে কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মধ্যম স্বল্প আয়ের দেশগুলোর কভিড-১৯-এর টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আগামী মাসের শুরুতেই বৈশ্বিক উদ্যোগ থেকে কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। সংস্থাটির গতকাল প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট; মুভিং ফরোয়ার্ড: কানেক্টিভিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস টু স্ট্রেংদেন কম্পিটিটিভনেস শীর্ষক এক প্রতিবেদনে তথ্য উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুষ্ঠুভাবে টিকা সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জোট কোভ্যাক্স। করোনা সংকট মোকাবেলায় কোভ্যাক্স থেকে আগামী মে মাসেই কোটি ৮০ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল ওই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড হেভেন।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, টিকাপ্রাপ্তি নিয়ে গোটা বিশ্বেই অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোভ্যাক্স থেকে শিগগিরই টিকা পাবে।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশ থেকে দশমিক শতাংশ হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধির হ্রাস-বৃদ্ধি মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। ওই বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করেই বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধির ন্যূনতম সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে। বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে টিকাদান কর্মসূচির গতিপ্রকৃতি, চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার।

এতে আরো বলা হয়, করোনার কারণে গত অর্থবছরে দেশের দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশ। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে অনেকের মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়েও এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের জরিপে উঠে এসেছে।

তবে করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি। যদিও সামনের দিনগুলোয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অনিশ্চয়তাও রয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে (গত জুলাই-জানুয়ারি) ঢাকা চট্টগ্রামের শ্রমবাজারে আবার চাঞ্চল্য এসেছে, অনেকেই কাজে ফিরতে শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় অতীতে দেখা গেছে, বাংলাদেশে অনানুষ্ঠানিক খাতের মানুষ সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছে। এমন গরিব মানুষকে সুরক্ষা দিতে খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি নগদ সহায়তা নিশ্চিত করা দরকার। সরকার এরই মধ্যে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে। নিয়ে বিশ্বব্যাংকের টিম কাজ করছে। তবে বাজেট সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নির্ভর করে বাংলাদেশ আর্থিক খাতে কী ধরনের সংস্কার করছে, সেটার ওপর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন