হেলদি বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন

সংক্রমণ রোধে ‘স্মার্ট লকডাউনের’ প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংক্রমণ রোধে বিশেষ করে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণকালে চলাচল জনসমাগমের ওপর সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। তবে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি সুচিন্তিত, বাস্তবপ্রসূত স্ববিরোধিতামুক্ত না হলে এটি শুধু অকার্যকরই নয়, বরং জনদুর্ভোগও বাড়ায়। তাই সারা দেশকে এককভাবে বিবেচনা না করে সংক্রমণের হার মাত্রাভেদে হটস্পটের দিক থেকে স্মার্ট লকডাউন চালুর পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিকারসংক্রান্ত বিভিন্ন সংগঠন পেশাজীবীদের জোট হেলদি বাংলাদেশ

গতকাল করোনা সংক্রমণ কমাতে হেলদি বাংলাদেশের আহ্বায়ক . হোসেন জিল্লুর রহমান এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে স্মার্ট লকডাউনসহ সরকারকে পাঁচটি করণীয় কার্যকরের প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেন, স্মার্ট লকডাউন বিশেষণটি এখন জরুরি। সারা দেশকে এককভাবে বিবেচনা না করে সংক্রমণের হার মাত্রাভেদে সারা দেশকে হটস্পটের দিক থেকে বিবেচনা করা জরুরি। তখন লকডাউন কাজে দেবে।

এক্ষেত্রে দেশকে তিনটি স্তরে ভাগ করার কথা বলেন তিনি। ঢাকাকে এপিসেন্টার (প্রধান সংক্রমণকেন্দ্র) হিসেবে রেখে চট্টগ্রাম উচ্চ সংক্রমণের অন্যান্য শহুরে এলাকাকে পৃথক এলাকা এবং উপজেলা গ্রামাঞ্চলগুলোকে আলাদা করে বিভাজিত করার কথা বলেন তিনি।

এসবের পাশাপাশি স্মার্ট লকডাউন কার্যকর করতে পরিবহন শ্রমিকদের আয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করে আন্তঃজেলা গণপরিবহনে বিধিনিষেধ কঠোর করা, মার্কেট সার্বিকভাবে বন্ধ না করে দিনের নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখা, শহুরে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা, যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাসায় থেকে কাজের সুযোগ আছে, সেগুলোতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করার কথা বলা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন